যাকাতের মূল লক্ষ্য গ্রহীতাকে সচ্ছল করে তোলা

আজাদী প্রতিবেদন

সিজেডএম ও একে খান ফাউন্ডেশনের সেমিনারে বক্তারা | শুক্রবার , ২৯ নভেম্বর, ২০২৪ at ৮:৫৫ পূর্বাহ্ণ

নগরীর আমবাগান বাটালি হিলে সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজম্যান্ট (সিজেডএম) এবং একে খান ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে ‘ইনস্টিটিউশনলাইজড যাকাতবেসড প্রোগ্রাম ইন সোসিও ইকোনোমিক ডেভলাপমেন্ট’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে যাকাত ব্যবস্থাপনায় প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ, ধর্মীয় দিক থেকে যাকাতের তাৎপর্য, যাকাতের অর্থ সহায়তার দেয়ার মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন, অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের শিক্ষা বৃত্তি ও কারিগরি প্রশিক্ষণসহ সিজেডএমের বিভিন্ন কর্মসূচির বিষয়ে আলোকপাত করা হয়।

সিজেডএম’র হেড অব কর্পোরেট অ্যাফের্য়াস কর্নেল (অব🙂 জাকারিয়া হোসেনের সঞ্চালনায় সেমিনারে বক্তব্য রাখেন একে খান ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি সেক্রেটারি ও সিজেডএমের উপদেষ্টা সালাউদ্দিন কাসেম খান। এছাড়া অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সিজেডএমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সাবেক সচিব ড. আইয়ুব মিয়া, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের অধ্যাপক ও সিজেডএমের চট্টগ্রাম বিভাগের অ্যাম্বসেডর অধ্যাপক ড. গিয়াস উদ্দিন তালুকদার, সিজেডএমের ভাইস চেয়ারম্যান ও খাদিম সিরামিকসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাকিফ আরিফ তাবানি, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মাসুদুল আলম চৌধুরী ও সিজেডএমের শরীয়াহ বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক ড. আ ক ম আবদুল কাদের। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন বিএসআরএম গ্রুপের চেয়ারম্যান আলী হোসেন আকবর আলী, বেঙ্গল শিপিং কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল, দৈনিক পূর্বকোণের প্রকাশক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, সিজেডএম’র রিসোর্স মোবিলাইজেশনের এজিএম ওয়েজ খান নূর সোহেল প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, যাকাতের মূল লক্ষ্য হলো গ্রহীতাকে আর্থিকভাবে সচ্ছল করে তোলা, যাতে আজকের গ্রহীতা আগামীতে যাকাত দিতে পারে। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় যাকাতের বিকল্প নেই। অধিকাংশ মুসলিম দেশেই আল্লাহর নির্দেশিত বাধ্যতামূলক এই ইবাদতটি সঠিকভাবে প্রতিপালন করা হচ্ছে না। এর ফলে বিভিন্ন দেশে দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি বাড়ছে অসমতা। ব্যক্তিগত ব্যবস্থাপনায় যাকাত দিয়ে সমাজের দরিদ্র বঞ্চিত মানুষের উন্নয়নে বিশেষ কোন পরিবর্তন রাখাও সম্ভব হচ্ছে না। সেই চিন্তা থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন মুসলিম দেশে বেসরকারী সংস্থার উদ্যোগে যাকাত তহবিল গঠন করে তাতে সকলকে অংশগ্রহণের আহবান জানিয়ে আসছে। সেই ধারাবাহকতায় আমাদের দেশেও গত ১৫ বছর ধরে যাকাত ব্যবস্থাপনায় কাজ করছে সিজেডএম। ব্যক্তিগতভাবে যাকাত দিলে তা টেকসই হয় না। কিন্তু কোন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দিলে আশা করা যায় তা টেকসই হয়। সেই জায়গা থেকে সিজেডএম অনন্য ভূমিকা পালন করছে। যাকাত তহবিল সংগ্রহ করে তা বঞ্চিত মানুষের প্রয়োজনে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বিতরণ করার কঠিন কাজটি করছে সিজেডএম। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়ন ও স্বাবলম্বী করার এই কর্মসূচিতে ৩৬ প্রকল্পের ৬০ হাজার পরিবারের মধ্যে মূলধন হস্তান্তরসহ নানাবিধ সেবা ইতোমধ্যে নিশ্চিত হয়েছে। সিডেজএমের কর্মসূচিগুলোর মধ্যে রয়েছে জীবিকা, মুদারিব, ফেরদৌসি, ইনসানিয়াত, জিনিয়াস, গুলবাগিচা, নৈপূন্য বিকাশ ও দাওয়াহ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকোনো উগ্রবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর জায়গা বাংলার মাটিতে হবে না
পরবর্তী নিবন্ধলোহাগাড়ায় হাসনাত সারজিসের বহরের কার দুর্ঘটনায় মামলা