যমুনা নদীর উপর দীর্ঘতম রেলসেতু উদ্বোধন

৩ মিনিটে রেলসেতু পার, সময় বাঁচল ৬ গুণ

| বুধবার , ১৯ মার্চ, ২০২৫ at ৪:২৭ পূর্বাহ্ণ

যমুনা নদীর উপর নির্মিত দেশের দীর্ঘতম রেলসেতু আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম এটি উদ্বোধন করেন। এদিন রেলসেতু উদ্বোধনের পর উদ্বোধনী ট্রেনটি টাঙ্গাইলের ইব্রাহিমাদ স্টেশন থেকে রওনা হয়েছে এবং তিন মিনিটে যমুনা রেলসেতু পার করে সিরাজগঞ্জ সায়েদাবাদ এলাকায় পৌঁছেছে। ইব্রাহিমাবাদ স্টেশনে সেতুর উদ্বোধনের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনিচি ও জাপানের বৈদেশিক উন্নয়ন সংস্থা জাইকার দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক মহাপরিচালক ইতো তেরুয়ুকি।

বাংলানিউজ জানায়, সড়ক পথে যমুনা বহুমুখী সেতুর ওপর স্থাপিত রেলসেতু পার হতে যেখানে ১৮২০ মিনিট সময় লাগতো সেখানে নবনির্মিত যমুনা রেলসেতু পার হতে সময় লেগেছে মাত্র ৩ মিনিট ২১ সেকেন্ড। উদ্বোধনী স্পেশাল ট্রেনটি পার হতে এই সময় নিয়েছে। এতে দেখা যায়, আগের থেকে প্রায় ৬ গুণ সময় কম লেগেছে।

মঙ্গলবার বেলা ১২টা ১৬ মিনিটে পূর্বপারে সেতুর ওপর ওঠে স্পেশাল ট্রেনটি। ১২টা ১৯ মিনিট ২১ সেকেন্ডে ট্রেনটি সেতুর পশ্চিমপারে এসে নেমে যায়। এর আগে ১২টা ৯ মিনিটে টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর ইব্রাহিমাবাদ রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেনটি শ্লথ গতিতে ছেড়ে যায়। তবে সেতুর ওপর উঠেই গতি বাড়িয়ে ১০০ কিলোমিটার করা হয়। যমুনা রেলসেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসুদুর রহমান বলেন, উদ্বোধনী ট্রেনটি পার হতে ৩ মিনিট ২১ সেকেন্ড সময় লেগেছে। কিন্তু তার আগে ট্রায়াল ট্রেনে ২ থেকে সোয়া ২ মিনিট লেগেছে। ফুল স্পিডে চালালে ২ মিনিটের মধ্যেই সেতু পার হবে। সেতুর পূর্বপার স্টেশন থেকে পশ্চিমের স্টেশন পর্যন্ত ৭৮ মিনিট সময় লাগবে বলে জানান তিনি।

দুপুর সাড়ে ১২টার সময় সায়দাবাদ রেলওয়ে স্টেশনে সাংবাদিকের ব্রিফিং করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম। তিনি বলেন, ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন যমুনা সেতু উদ্বোধন হওয়ার পর রেল সেতুর প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। তখন সেখানে একটি সিঙ্গেল রেললাইন যুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে সরকার অনুভব করে যমুনা সেতুর ওপর আলাদা রেলসেতু হওয়ার প্রয়োজন। সেই তাগিদ থেকেই এ প্রকল্পটি নেওয়া হয়। প্রকল্পটির অর্থায়ন করে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সির (জাইকা)। অবকাঠামোগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে জাইকা আমাদের বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান। গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে সিঙ্গেল লাইনে ট্রেন যাওয়া আসা শুরু হয়। আর আজ ১৮ মার্চ দুটি লাইন উদ্বোধন হয়ে গেল। এরপর থেকে দুটি লাইনে রেলসেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল করবে। ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গে রেল যোগাযোগের নতুন তার উন্মোচন হলো। এই সেতুতে চলাচলকারী ট্রেনযাত্রীদের ভাড়া বাড়বে। ঢাকা থেকে রাজশাহী ৪০৫ টাকা ভাড়া ছিল, সেখানে ৪৫০ টাকা ভাড়া হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজয়দেবপুরে বাঙালি সেনাদের নিরস্ত্র করার পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়
পরবর্তী নিবন্ধফের স্বর্ণের দামে রেকর্ড, প্রতি ভরি ১,৫৪,৯৪৪ টাকা