প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আদলে ঘেরা রঙিন বন্দর–নগরী চট্টগ্রাম শহরের সৌন্দর্যের মান ক্রমেই ঢাকা পড়ছে পোস্টার ব্যানারের ছোবলে। বাংলাদেশের এমন কোনো অলিগলি নেই যেখানে যত্রতত্র চোখে পড়বে না কোচিং সেন্টারের পোস্টার, ব্যানার, দেয়াল লিখন। ফলে ঘটছে দৃশ্যদূষণ যার থেকে রেহাই পাচ্ছে না স্কুল কলেজও, বাদ যাচ্ছে না ব্রীজ, সেতু, ট্রাফিক পুলিশের বক্স, যাত্রী ছাউনি, ফ্লাইওভার, বিপজ্জনক বৈদ্যুতিক তার ও বৈদ্যুতিক খুঁটি, গাছপালা, এমনকি বাসাবাড়ির দেয়াল। রাতের বেলা লাগিয়ে যাওয়া এক পোস্টারের ওপরে পরের রাতে সাঁটানো হয় আরেকটি পোস্টার। যেন রীতিমতো এক অসুস্থ প্রতিযোগিতা। ফলে রাত না পেরোতেই সকাল হলে নিজ প্রতিষ্ঠানের প্রধান ফটক অসংখ্য পোস্টারে মোড়ানো দেখে শিক্ষার্থীর মেধা মননেও পড়ছে বিরূপ প্রভাব। প্রচারণা গুরুত্বপূর্ণ হলেও অনুমতি ব্যতীত এমন কর্মকাণ্ড অবৈধ ও নগরীবাসীর জন্য দৃষ্টিকটু ও ‘দেয়াল লিখন ও পোস্টার লাগানো (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১২’ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই যারা প্রচারণার অংশ হিসেবে শহরের দৃশ্য নষ্ট করছে তাদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা ও নীতিমালা অমান্য করে কেউ যাতে ব্যানার–পোস্টার লাগাতে না পারে তা নিশ্চিত করা জরুরি।
কাওসার আকতার নিশাত
শিক্ষার্থী,
চট্টগ্রাম কলেজ।