যত্রতত্র নয়, ময়লা ফেলতে হবে নির্দিষ্ট স্থানে

বর্জ্য সংগ্রহকারীদের মাঝে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণকালে মেয়র

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১০ মার্চ, ২০২৫ at ১০:৩৮ পূর্বাহ্ণ

শহর পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশ রক্ষার জন্য নাগরিকদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, নাগরিকদের যত্রতত্র ময়লা ফেলা বন্ধ করে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে। আমরা ইতোমধ্যে একটি উদ্যোগ নিয়েছি, যেখানে নির্দিষ্ট পরিমাণ প্লাস্টিক জমা দিলে বিনিময়ে চাল, ডাল বা অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে। এতে জনগণ উৎসাহিত হচ্ছে এবং পরিবেশবান্ধব আচরণ গড়ে উঠছে। গতকাল রোববার নগরের হালিশহর আনন্দবাজার ল্যান্ডফিল্ডে বর্জ্য সংগ্রহকারীদের মাঝে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন। বর্জ্য সংগ্রহকারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার লক্ষ্যে এ সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণে সহযোগিতা করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইপসা (ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশন)। শাহাদাত বলেন, ‘ক্লিন সিটি, গ্রিন সিটি, হেলদি সিটি’ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছি। জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ হলো প্লাস্টিক ও পলিথিন বর্জ্য, যা নালায় জমে পানি নিষ্কাশন ব্যাহত করছে। সচেতনতা বৃদ্ধি এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নতির মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব। চসিক তিনটি ধাপে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছেপ্রাথমিক, মাধ্যমিক ও চূড়ান্ত স্তর। পরিকল্পনার আওতায় বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করা হবে, যার মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন, বায়োগ্যাস উৎপাদন ও সার তৈরির সুযোগ সৃষ্টি হবে। তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশন কেবল পরিষ্কারপরিচ্ছন্নতা নিয়ে কাজ করছে না, বরং পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সুরক্ষার বিষয়েও গুরুত্ব দিচ্ছে। তাদের জন্য গ্ল্লাভস, বুট, হেলমেটসহ বিভিন্ন নিরাপত্তা সামগ্রী সরবরাহ করা হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য, পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি স্বাস্থ্য সুরক্ষাও নিশ্চিত করা।

ইপসার প্রধান নির্বাহী মো. আরিফুর রহমান বলেন, নগরে ইপসা এখন পর্যন্ত এক হাজার ৮২৭ জন বর্জ্য সংগ্রহকারীর মাঝে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেছে, যা তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমিয়েছে এবং কর্মঘণ্টা বাড়িয়েছে। এর ফলে নগরীর প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ কার্যক্রম আরও বেগবান হয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, কমান্ডার মো. আরিফুর রহমান, চসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী নাছির উদ্দিন রিফাত, ইপসা প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের ফোকাল ও সহকারী পরিচালক মো. আব্দুস সবুর, প্রোগ্রাম ম্যানেজার অপূর্ব দেব প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজাবেদের ১০২ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ, ৯৫৭ বিঘা সম্পত্তি জব্দের আদেশ
পরবর্তী নিবন্ধচাম্বল ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মুজিবুলের স্ত্রী কারাগারে