যক্ষ্মা নির্মূলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা নিয়ে সমন্বিত নির্দেশনা দরকার

গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ২২ অক্টোবর, ২০২৪ at ১০:৫১ পূর্বাহ্ণ

২০৩৫ সালের মধ্যে যক্ষ্মা নির্মূল করতে হলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। এজন্য একটা সমন্বিত গাইডলাইন (নির্দেশনা) দরকার।

গতকাল দুপুরে নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে ‘যক্ষ্মা চিকিৎসায় বেসরকারি খাতের ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন। স্টপটিবি পার্টনারশিপের সহযোগিতায় যৌথভাবে এই গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) ও জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো। গোলটেবিল বৈঠক সঞ্চালনা করেন প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক বিশ্বজিৎ চৌধুরী। আলোচনায় অংশ নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক অং সুই প্রু মারমা, মেরিন সিটি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সুযত পাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সরোজ কান্তি চৌধুরী, ইউএসটিসির সাবেক সহউপাচার্য ডা. এ এইচ এম ইসহাক চৌধুরী, ইউনির্ভাসিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন শরীফ, পার্কভিউ হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এটিএম রেজাউল করিম, ন্যাশনাল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মোহাম্মদ ইউসুফ, মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ মোরশেদ হোসেন, পিপলস হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. সুভাষ চন্দ্র সূত্রধর, রোগনির্ণয় কেন্দ্র শেভরনের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, চট্টগ্রামের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. শৈবাল বড়ুয়া, জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগের বিশেষজ্ঞ ডা. বিপ্লব পালিত ও ব্র্যাকের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক সুশান্ত বিশ্বাস। পরে ধন্যবাদ ব্যক্ত করেন আইসিসিডিআরবির ডেপুটি চিফ অব পার্টি ডা. শাহরিয়ার আহমেদ। শুরুতে যক্ষ্মা নিয়ে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন আইসিডিডিআরবি এর জ্যেষ্ঠ গবেষণা কর্মকর্তা আদিল সিকদার। তিনি বাংলাদেশে যক্ষার বর্তমান ও অতীত পরিস্থিতি তুলে ধরেন।

বৈঠকে বক্তারা বলেন, যক্ষ্মা নির্মূলে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়ের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যক্ষায় যত সাফল্য তার মধ্যে ৭০ ভাগ বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রের অবদান। যক্ষা মোকাবিলায় প্রয়োজন সচেতনতা। শনাক্ত হওয়ার পরও অনেক যক্ষা রোগী ড্রপ আউট হয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে তারা নিয়মিত ওষুধ না খেলে পরে তা ১২ মাস বা ২৪ মাস খেতে হচ্ছে। মনে রাখতে হবে একজন যক্ষা রোগী পুরো পরিবারের জন্য ঝুঁকি। শনাক্ত করা চিকিৎসকদের দায়িত্ব। আমি ভালো থাকলাম তা নয়, সবাইকে ভালো রাখতে হবে। ওষুধ সরকারিভাবে বিনামূল্যে দেওয়া হয়, এটা সবাইকে জানাতে হবে। সচেতনতা তৈরি করতে হবে। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে শনাক্ত রোগীদের তথ্য যাতে এক জায়গায় থাকে সে ব্যবস্থাও করতে হবে। তাহলে রোগী আর হারাবে না। যক্ষ্মা নির্মূলে সবচেয়ে বড় ভূমিকা ডট কর্নারে কর্মরত লোকদের কাউন্সেলিং করার ক্ষমতা। তাদের ভালো ব্যবহার রোগীদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে। ২০০৫ সালে যক্ষ্মায় প্রতি লাখে ৪৫ জনের মৃত্যু হতো। ২০২২ সালে তা ২৫ জনে নেমে এসেছে। পাশাপাশি মনে রাখতে হবে যক্ষ্মাপ্রবণ বিশ্বের ৩০টির মধ্য বাংলাদেশ অন্যতম। সাফল্য যেমন আছে তেমনি চ্যালেঞ্জও আছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রতি ৮ জন নারীর একজন স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকিতে
পরবর্তী নিবন্ধশিশুদেরকে বইমুখী করে গড়ে তুলতে হবে