গত বছরের ২৫ নভেম্বর সবাইকে কাঁদিয়ে ৬০ বছর বয়সে না ফেরার দেশে চলে গেছেন ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় দিয়েগো ম্যারাডোনা। তখনই তার মৃত্যুকে ঘিরে জন্ম নিয়েছিল সন্দেহ। অভিযোগ ছিল চিকিৎসরা যদি আরেকটু তৎপর থাকতেন, তাহলে হয়তো বাঁচানো যেত ম্যারাডোনাকে। ম্যারাডোনার মৃত্যুর প্রায় পাঁচ মাস পর সেই অভিযোগের পক্ষেই কথা বললেন তদন্ত কর্মকর্তারা। ম্যারাডোনার মৃত্যুর তদন্তের জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড জানিয়েছে, ফুটবল ঈশ্বরের চিকিৎসা ছিল ত্রুটিপূর্ণ এবং যত্নহীন। এছাড়া চিকিৎসা যথাযথও ছিল না বলেছে তদন্ত কমিটি। মৃত্যুর কয়েকদিন আগে রক্তক্ষরণজনিত কারণে ম্যারাডোনার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। কয়েকদিন হাসপাতালে থাকার পর ডাক্তাররা তাকে পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠিয়েছিলেন। এর কিছুদিন পর হার্ট অ্যাটাক করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ম্যারাডোনা। তার মৃত্যুর পরদিনই আইনজীবী মাতিয়াস মোরিয়া পূর্ণ তদন্তের দাবি জানান। যার ফলস্বরুপ গত মার্চে ম্যারাডোনার মৃত্যুর সঠিক কারণ এবং চিকিৎসায় কোনো গাফিলতি ছিল কি না- তা জানতে ২০ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম রয়টার্স তাদের প্রতিবেদনে জানাচ্ছে গত ৩০ এপ্রিল তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে সেই বিশেষ কমিটি।