নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসর গতকাল থেকে শুরু হয়েছে। এবারের আসরে ভারত ও শ্রীলংকা যৌথ আয়োজক। আট দলের এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশও। যারা দ্বিতীয়বারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে নামছে। নিগার সুলতানার নেতৃত্বাধীন দলটি নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে বৃহস্পতিবার, কলম্বোয় পাকিস্তানের বিপক্ষে। ২০২২ সালে অভিষেক বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে এবার জিতুক বা হারুক, আর্থিকভাবে খালি হাতে ফিরছে না দলটি। শুধুমাত্র অংশগ্রহণের জন্যই বাংলাদেশ নিশ্চিতভাবে পাচ্ছে প্রায় ৩ কোটি ২ লাখ টাকা। এছাড়া প্রতিটি জয়েই দলের প্রাপ্তি হবে অতিরিক্ত ৪১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। আইসিসির হিসেবে এবারের আসরের মোট প্রাইজমানি দাঁড়িয়েছে ১৬৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা, যা নারী ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। ২ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ফাইনালে শিরোপাজয়ী দল ঘরে তুলবে প্রায় ৫৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা। এমন অঙ্ক ২০২৩ সালের ফিফা নারী বিশ্বকাপজয়ী স্পেনের প্রাইজমানির চেয়েও বেশি। শুধু তাই নয়, ২০২২ সালের তুলনায় এবারের আসরে প্রাইজমানি বেড়েছে প্রায় ২৯৭ শতাংশ, যা পুরুষদের সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপের (২০২৩) পুরস্কারের চেয়েও বড়। আইসিসির বিশ্বাস, এই আয়োজন নারী ক্রিকেটকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবে এবং অস্ট্রেলিয়ার দীর্ঘদিনের আধিপত্যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেবে অন্যান্য দলগুলো।