গত ক’দিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত ও উজানের পানির ঢলে হু–হু করে পানি বাড়ছে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে। হ্রদে পানি বৃদ্ধির ফলে বাড়ানো হয়েছে দেশের একমাত্র জলবিদ্যুৎকেন্দ্র কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন সক্ষমতা। গত জুলাই মাসের শুরুর দিকে ১৬০–১৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হলেও এখন উৎপাদন বেড়ে ২০০ মেগাওয়াটে দাঁড়িয়েছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বিভাগের তথ্য মতে, কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটের সবক’টি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। গতকাল শুক্রবারও কেন্দ্রটিতে উৎপাদন হয়েছে ২০০ মেগাওয়াট। এর মধ্যে কেন্দ্রের ১ নম্বর ইউনিটে ৩৫ মেগাওয়াট, ২ নম্বর ইউনিটে ৪০ মেগাওয়াট, ৩ নম্বর ইউনিটে ৪৫ মেগাওয়াট, ৪ নম্বর ইউনিটে ৪০ মেগাওয়াট ও ৫ নম্বর ইউনিটে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের বলেন, বর্তমানে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট সচল রয়েছে। পাঁচ ইউনিটে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়লে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক।
বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ (কন্ট্রোল রুম) সূত্র জানিয়েছে, কাপ্তাই হ্রদে বর্তমানে ৯৩ দশমিক ৫ মিনস সী লেভেল (এমএসএল) পানি রয়েছে। রুলকার্ড অনুযায়ী (সময় বা মৌসুমভিত্তিক পানি বাড়া–কমার পরিমাপ) হ্রদে পানি থাকার কথা ছিল ৮৯ দশমিক ৩২ এমএসএল। রুলকার্ডের হিসাবে প্রায় ৪ এমএসএল পানি বাড়তি আছে কাপ্তাই হ্রদে। কাপ্তাই হ্রদে মোট পানি ধারণ সক্ষমতা আছে ১০৯ এমএসএল। তবে হ্রদে ১০৪–১০৬ এমএসএল পানি হলে হ্রদ পানিতে টইটম্বুর হয়ে যায়। তখন কাপ্তাই বাঁধের স্লুইস গেট বা জলকপাট দিয়ে পানি নিগর্মন করা হয় কর্ণফুলী নদীতে।