নগরের মোহরার যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ অবকাঠামোগত উন্নয়নে প্রায় শত কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, বর্তমানে ১০টি উপ–প্রকল্পের মাধ্যমে মোহরা ওয়ার্ডে ৬৭ কোটি টাকার উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান আছে। আরো ফান্ড যোগ করে মোট ১০০ কোটি টাকা করে পুরো মোহরার যোগাযোগ ব্যবস্থাকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেয়া হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হলে এ ওয়ার্ডেও শিল্পায়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়ে মানুষের ভাগ্য বদল হবে। গতকাল মঙ্গলবার মোহরা ওয়ার্ডের দেওয়ান মহসিন সড়ক, পল্টনিয়া তালুকদার সড়ক, কাজী বাড়ি সড়ক এবং বাদামতল মোড় সংলগ্ন শাহাজী চত্বর উদ্বোধন করার পর সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মেয়র। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিডিএ’র সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম।
মেয়র বলেন, শহরের প্রান্তিক অঞ্চলে থাকায় ভৌগোলিক কারণে যে কয়েকটি ওয়ার্ড পিছিয়ে আছে তার একটি মোহরা। এ কারণে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর এই প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যবদলে ব্যাপক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করি।
আবদুচ ছালাম বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লক্ষ কোটি টাকা ব্যয় করেছেন। এ কারণে চট্টগ্রামের মানুষ উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার পক্ষেই আগামী নির্বাচনে মত দিবেন। তবে, নানামুখী ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। ঘরে বসে থাকা চলবে না। বিশেষ করে আগামী জাতীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক নেতা–কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ নারী ভোটারদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। কাউন্সিলর কাজী নুরুল আমিন মামুনের সভাপতিত্বে সুধী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর মো. মোরশেদ আলম, চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মুনিরুল হুদা, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. মাসুম চৌধুরী, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, চসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বিপ্লব দাশ, মো. শাহিনুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু ছিদ্দীক, রিফাতুল করিম। হানিফ খানের সঞ্চালনায় সভায় স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সিনিয়র সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, এস এম আনোয়ার মীর্জা, মো. ফারুক, হাসান মুরাদ চৌধুরী, নাজিমুদ্দিন চৌধুরী, শেখ আহম্মদ, জমির উদ্দিন, মো. জসিম, মো. আরজু, মো. কফিল, মো. তসলিম, মো. আয়াজ, মো. শফি, মো. খোকন ও মো. সরোয়ার।