মোস্তাফিজুর রহমানের আইপিএলে খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা আপাতত কেটে গেছে। জাতীয় দলের ম্যাচের বাইরের সময়টুকুর জন্য তাকে অনাপত্তিপত্র দেবে বিসিবি। তাতে প্রাথমিক পর্বের শেষ দুই ম্যাচের জন্য বাংলাদেশের অভিজ্ঞ বাঁহাতি পেসারকে পাবে দিল্লি ক্যাপিটালস। আইপিএলের ওয়েবসাইটে ও দিল্লি ক্যাপিটালসের সামাজিক মাধ্যম পাতাগুলো থেকে গত বুধবার বিকেলে জানা যায়, মোস্তাফিজকে চুক্তিবদ্ধ করেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। তবে এই ঘোষণা বিস্ময় হয়ে আসে বিসিবির কাছে। বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরি জানান, এই ব্যাপারে তাদের কিছুই জানা নেই এবং মোস্তাফিজ ও দিল্লির পক্ষ থেকে বোর্ডের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে বাংলাদেশের সিরিজ খেলতে বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা ছাড়েন এই পেসার। সব মিলিয়ে তার আইপিএলে অংশগ্রহণ নিয়ে তৈরি হয় অনিশ্চয়তা। তবে বিসিবির সঙ্গে আনুষ্ঠানিকতার সেই প্রক্রিয়া শুরু করেছে দিল্লি। বিসিবি পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির প্রধান ইফতেখার আহমেদ মিঠু জানিয়েছেন ফাঁকা সময়টুকুর জন্য ছাড়পত্র দিতেও তারা প্রস্তুত। প্রাথমিক পর্বে দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচ বাকি আছে আর তিনটি। ১৮ মে তারা খেলবে গুজরাট টাইটান্সের সঙ্গে, ২১ মে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে এবং ২৪ মে পাঞ্জাব কিংসের সঙ্গে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে বাংলাদেশের দুই ম্যাচ ১৭ ও ১৯ মে। তাই ১৮ মে দিল্লির ম্যাচটি নিশ্চিতভাবেই খেলতে পারবেন না মুস্তাফিজ। পরের দুই ম্যাচে তাকে পাবে দল। পয়েন্ট তালিকায় দিল্লি আপাতত আছে পাঁচ নম্বরে। তারা যদি শেষ পর্যন্ত প্লেঅফে জায়গা করে নিতে পারে তাহলে মোস্তাফিজকে পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হবে আবার। আরব আমিরাত সফর শেষেই পাকিস্তান সফরে যাওয়ার কথা বাংলাদেশ দলের। সফরটি হলে মুস্তাফিজকে ফিরে আসতে হতে পারে। মোস্তাফিজকে ৬ কোটি রুপিতে নিয়েছে দিল্লি। তার নিজের তো বটেই, আইপিএলে বাংলাদেশের যে কোনো ক্রিকেটারের এটি রেকর্ড পারিশ্রমিক। এই টাকার পুরোটাই অবশ্য পাবেন না মোস্তাফিজ। আইপিএলের নিয়ম অনুযায়ী, যতগুলো ম্যাচের জন্য তিনি দলের সঙ্গে থাকবেন, শুধু সেই ম্যাচ অনুপাতে পারিশ্রমিক পাবেন। অর্থাৎ তার মোট পারিশ্রমিককে সবগুলো ম্যাচ দিয়ে ভাগ করে ম্যাচ অনুযায়ী পারিশ্রমিক দেওয়া হবে। এছাড়া ম্যাচ খেলতে পারলে তো আলাদা করে ম্যাচ ফি আছেই অন্য সবার মতো। দিল্লি ক্যাপিটালসে আগেও দুই মৌসুমে খেলেছেন মুস্তাফিজ।