আগামী বর্ষায় নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে খালের পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখায় জোর দেওয়া হচ্ছে। পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে আজ বুধবার থেকে নগরের পৃথক দুটি খাল খনন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। খাল দুটি হচ্ছে মোগলটুলী খাল এবং কৃষিখাল। এর মধ্যে মোগলটুলী খাল জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান মেগা প্রকল্পের আওতায় এবং কৃষিখাল খনন করা হবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) উদ্যোগে। আজ সকাল ১০টায় মোগলটুলী খাল খনন উদ্বোধনকালে সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, সিডিএ চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল করিম ও মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে সেনাবাহিনীর প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল ফেরদৌস আহমেদ আজাদীকে বলেন, সকাল ১০টায় আনুষ্ঠানিকভাবে মোগলটুলী ক্লিনিং (পরিচ্ছন্ন) কার্যক্রম শুরু হবে। এরপর থেকে এটা চলমান থাকবে।
চসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আজিজ আহমদ আজাদীকে বলেন, সকাল সাড়ে ১১টায় ১৭ নং পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডের বড় কবরস্থান সংলগ্ন কৃষিখাল খনন কাজ উদ্বোধন করবেন মেয়র। জানা গেছে, মেগা প্রকল্পের আওতায় ২০২৩ সালে মোগলটুলী খালে ৬১৪ মিটার রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ করা হয়। ওই সময় খননও করা হয়। এদিকে সম্প্রতি বাকলিয়া পরিদর্শনে গিয়ে আবর্জনায় কৃষিখাল ভরাট দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মেয়র। ওই সময় তিনি খালটি খননে নির্দেশ দেন। এরপর কিছুদিন সেখানে পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমও চালানো হয়।
উল্লেখ্য, নগরের জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশনায় গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটির বৈঠক হয় ১৯ জানুয়ারি। এতে জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রাইমারি, সেকেন্ডারি ও টারশিয়ারি ড্রেন পরিষ্কারসহ ১১টি করণীয় নির্ধারণ করে তা শেষ করতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে চার মাসের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত করণীয়গুলো সিটি কর্পোরেশন, সিডিএ, ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিভাগীয় কমিশন, জেলা প্রশাসন, বন্দর কর্তৃপক্ষ ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে বাস্তবায়ন করতে হবে।
