মেয়র পদে ৭ ও কাউন্সিলর পদে ৮১ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল

কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচন

কক্সবাজার প্রতিনিধি | বুধবার , ১৭ মে, ২০২৩ at ৬:০১ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন গতকাল মঙ্গলবার উৎসবমুখর পরিবেশে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন প্রার্থীরা। এ সময় অনেক প্রার্থী শত শত কর্মীসমর্থক নিয়ে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসকের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। মনোনয়নপত্র দাখিলকারীদের মধ্যে মেয়র পদে ৭ জন, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১৬ জন ও সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৬৫ জন প্রার্থী রয়েছেন।

সকাল থেকে একে একে মিছিল নিয়ে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্যে নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে সমবেত হন। এ সময় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এছাড়া প্রধান সড়ক ও উপসড়কগুলোতে সৃষ্টি হয় যানজটের। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় বেশিরভাগ মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীর বিরুদ্ধেই আচরণবিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগ উঠেছে।

জেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত মো. মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, সাবেক মেয়র সরওয়ার কামাল, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাসেদুল হক রাশেদ ও তার স্ত্রী জোসনা হক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জাহেদুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আল জুবায়ের চৌধুরী ও জগদীশ বড়ুয়া পার্থ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এছাড়া চারটি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ওয়ার্ডে ১৬ জন এবং ১২টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৬৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। গত ৩ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন এ পৌরসভার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী গতকাল প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষদিন ছিল, আগামীকাল ১৮ মে মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাই, প্রত্যাহারের দিন ২৫ মে, প্রতীক বরাদ্দ ২৬ মে এবং ভোটগ্রহণ ১২ জুন।

১২টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত কঙবাজার পৌরসভার এবার মোট ভোটার সংখ্যা ৯৪ হাজার ৮০২ জন। সর্বশেষ কঙবাজার পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৮ সালের ২৫ জুলাই। নির্বাচনে মেয়র পদে জয়লাভ করেছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নৌকার মনোনীত প্রার্থী মুজিবুর রহমান। বঙ্গোপসাগর ও বাঁকখালী নদীতীরে অবস্থিত কঙবাজার পৌরসভার বর্তমান আয়তন ৩২.৯০ বর্গকিলোমিটার। ১৮৬৯ সালের ১ এপ্রিল গঠিত হয় কঙবাজার পৌরসভা।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার এসএম শাহাদত হোসেন বলেন, আচরণবিধি মেনে চলতে ইতোমধ্যে প্রার্থীদের সতর্ক করা হয়েছে। কেউ প্রতীক বরাদ্দের আগে আচরণবিধি ভঙ্গ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিদ্যুৎহীন শাহ পরীর দ্বীপে খাবার পানির তীব্র সংকট
পরবর্তী নিবন্ধআমদানিকারকের দুঃখ চট্টগ্রাম কাস্টমস ল্যাব