নগরীর মেহেদীবাগ দারুস সোফ্ফা তাহফিজুল মাদ্রাসার বাথরুম থেকে গতকাল রাত ৯টায় চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। চকবাজার থানার ওসি মনজুর কাদের মজুমদার জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রের নাম শাবিব শায়ান। তার পিতা রেয়াজুদ্দিন বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মশিউর রহমান চৌধুরী আজাদীকে বলেন, আমার ছেলেকে আমি প্রতিদিন সকালে মাদ্রাসায় দিয়ে যাই। আবার রাত ৯টায় এসে মাদ্রাসা থেকে বাসায় নিয়ে আসি। এটা সারাদিনের মাদ্রাসা। প্রতিদিনের মতো আজকেও (গতকাল) সকালে দিয়ে এসেছিলাম। রাত ৯টায় আমাকে মাদ্রাসা থেকে ফোন করে জানানো হয়– আপনি তাড়াতাড়ি মাদ্রাসায় আসেন। আপনার ছেলের অবস্থা খারাপ। আমি গেলে তারা বাথরুম থেকে আমার ছেলের লাশ বের করে। এই কথা বলতে বলতে মশিউর রহমান কান্নায় ভেঙে পড়েন।
কান্নাজড়িত কন্ঠে তিনি বলেন, কীসের থেকে কী হয়ে গেলো তো কিছু বুঝতে পারছি না। তারা বলছে– পড়া শেষ হয়েছে, ছুটি দিয়েছে। তারপর বাথরুমে গিয়ে আর বের হয়নি। তারা বলছে, আমার ছেলে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু সে কেন আত্মহত্যা করবে? তাকে হত্যা করা হয়েছে।
চমেক হাসপাতালের মর্গের সামনে বারবার মুর্ছা যাচ্ছিলেন পিতা মশিউর রহমান চৌধুরী। এ সময় তিনি বলেন, তার ৩ ছেলে ও ১ মেয়ে। শাবিব শায়ান তার বড় ছেলে।
এ ব্যাপারে চকবাজার থানার ওসি মনজুর কাদের মজুমদার গতকাল রাত পৌনে ১২টায় আজাদীকে জানান, আমরা এখনো মাদ্রাসায় আছি। মাদ্রাসার প্রিন্সিপা্যালসহ শিক্ষকদের সাথে আমরা কথা বলছি। আমরা বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করছি।
ছেলেটি নিজে গলায় ফাঁস লাগিয়েছেন নাকি অন্য কিছু এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি মনজুর কাদের মজুমদার বলেন, গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করছি। তারপরও আমরা সবকিছু দেখছি। এখনো শিওর হয়ে কিছু বলতে পারছি না। তাকে বাথরুমের দরজা ভেঙে বের করা হয়েছে নাকি দরোজা খোলা ছিল এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, দরজা ভাঙার কিছু আলামত পাচ্ছি। এখানে সিসিটিভি আছে, আমরা ফুটেজ দেখে বলতে পারবো। মাদ্রাসা অধ্যক্ষসহ সবাইকে জিজ্ঞেসাবাদ করে থানায় গিয়ে তারপর মামলা নেবো।