বিশ্বকাপ সামনে রেখে পাঁচ তারকা হোটেলে না থেকে কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে ক্যাম্প সাজিয়েছে আর্জেন্টিনা। মূলত খোলামেলা প্রাকৃতির সঙ্গে মিশে যেতেই এই সিদ্ধান্ত।
সেই ছাত্রাবাসে দলের প্রত্যেককেই রুম ভাগাভাগি করে থাকতে হচ্ছে। শুধুমাত্র লিওনেল মেসি ব্যতিক্রম। আর্জেন্টিনার প্রথা ভেঙ্গে ‘স্পেশাল রুমে’ থাকতে দেওয়া হয়েছে মেসিকে। যেখানে এই পিএসজি ফরোয়ার্ড একাই থাকছেন। তবে আগে এমনটা ছিলনা। গত আট বছরে বরাবরই মেসির রুমমেট হিসেবে থেকেছেন সার্জিও অ্যাগুয়েরো। সেই যুব দল থেকে একসঙ্গে খেলেছেন তারা। তাই ঘনিষ্ঠতাও বেশি।
কিন্তু হৃদরোগের সমস্যাজনিত কারণে অনিচ্ছা সত্ত্বেও গত বছর ফুটবল থেকে অবসর নেন অ্যাগুয়েরো। অবসর না নিলে হয়তো আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ দলে থাকতে পারতেন তিনি। তবে বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে সমর্থন দিতে ঠিকই কাতারে পৌঁছে গেছেন অ্যাগুয়েরো।
তবে মেসিকে আলাদা রুম দেওয়া হয়েছে এজন্যই যে, যাতে করে বিশ্বকাপটা মনের আনন্দে উপভোগ করতে পারেন তিনি। কেননা শিরোপা জেতার অসম চাপ নিয়ে ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপে নামবেন এই ফরোয়ার্ড। চাপকে পেছনে ফেলে ফুরফুরে মেজাজে থাকারই পরামর্শ দিলেন কোচ লিওনেল স্কালোনি, ‘বাকিদের যা বলেছি, মেসির প্রতিও আমার বার্তাটা একই থাকবে। তার বিশ্বকাপকে উপভোগ করতে, মাঠে ভালো সময় কাটাতে হবে।
তখন নিশ্চিতভাবে সেই খেলাটা খেলতে পারবে যেমনটা আমরা জানি সে কী করতে পারে। এর বাইরে তাকে কিছু বলিনি আমরা। আবারও বলছি ব্যাপারটা শুধু উপভোগ করার। কারণ শুধু আর্জেন্টাইনরা নয় সবাই অনির্দিষ্টকালের জন্য তার খেলা দেখতে চায়। ছাত্রাবাসে মেসির পরের রুমটা রদ্রিগো দে পল ও নিকোলাস ওতামেন্দি। বিপরীত রুমে একসঙ্গে থাকছেন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া ও লিয়ান্দ্রো পারদেস।