দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও সবসময় পাদপ্রদীপের আলোয় থাকা ইউরোপিয়ান ফুটবল ছেড়ে লিওনেল মেসির যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানো দুই বছর হতে চলেছে। তাকে পেয়ে ইন্টার মায়ামি ‘সাধারণ’ এক দল থেকে উঠে এসেছে শিরোপার লড়াইয়ে। কিন্তু প্রতিযোগিতা হিসেবে মেজর লিগ সকার কতটা এগোলো? এখানেও আশার কথা শোনালেন আর্জেন্টাইন তারকা; ক্লাবগুলো তরুণ, সম্ভাবনাময়, বিদেশি খেলোয়াড়দের দলে নিচ্ছে এবং তাতে ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছে এমএলএস। পিএসজি ছেড়ে ২০২৩ সালের গ্রীষ্মে ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেওয়া মেসির মতে, তিনি দক্ষিণ ফ্লোরিডার দলটিতে নাম লেখানোর পর থেকে লিগে এবারই সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখছেন। ইউটিউব চ্যানেল ‘সিম্পলি ফুটবল’–এ যুক্তরাষ্ট্রের লিগটির ভেতর থেকে দেখে এর বিষয়ে নিজের ভাবনা তুলে ধরেন বিশ্বকাপজয়ী তারকা মেসি। এই লিগে খুব শারীরিক শক্তির পরীক্ষা হয়, অনেক তরুণ খেলোয়াড় তাদের ট্যাকটিক্যাল দুর্বলতা শারীরিক শক্তি দিয়ে ঢাকার চেষ্টা করে। দেখে হয়তো তেমনটা মনে হয় না, কিন্তু দলগুলোর খেলোয়াড়রা অনেক দৌড়ায়। অনেক উত্থান–পতনের ম্যাচ হয়ে থাকে, বিশেষ করে ম্যাচের শেষ সময়ে মাঠে উন্মুক্ত জায়গা তৈরি হওয়ায় এমনটা হয়। আমার মনে হয়, এই লিগে দলগুলো ক্রমেই আরও ভালো হচ্ছে। এই মৌসুমে দলগুলো অনেক বিদেশি খেলোয়াড় চুক্তিভুক্ত করে আরও শক্তিশালী হয়েছে।
গত মৌসুমে প্রথমবারের মতো সাপোর্টার্স শিল্ড জয়ী ইন্টার মায়ামিও তারকাসমৃদ্ধ দলকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করছে। ২০২৫ সালের আসর শুরুর আগে যেমন তারা দক্ষিণ আমেরিকা থেকে অনেক তরুণ ফুটবলার দলে টেনেছে, যে স্কোয়াডে আগে থেকে মেসি ছাড়াও আছেন তার এক সময়ের বার্সেলোনা সতীর্থ লুইস সুয়ারেস, সের্হিও বুসকেতস ও জর্দি আলবা। ক্লাবগুলো তাদের স্কোয়াডের শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করলেও, লিগের কিছু বিধি–নিষেধের কারণে তাদের উন্নতি পথে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। আমার মনে হয়, লিগ যদি আরও বেশি খেলোয়াড় চুক্তিভুক্ত করার অনুমতি দেয়, তাহলে ক্লাবগুলো আরও উন্নতি করবে। এবারের লিগে সাত ম্যাচে চার জয় ও তিন ড্রয়ে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে ইস্টার্ন কনফারেন্সের চার নম্বরে আছে মায়ামি।