বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিকে বিশ্বমানে উন্নয়নের লক্ষ্যে মাস্টারপ্ল্যান তৈরির জন্য বলেছেন নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির ৫৮তম ব্যাচের ক্যাডেটদের শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, মেরিন একাডেমির অবকাঠামোগত উন্নয়নে মাস্টারপ্ল্যান করার জন্য বলেছি। আমরা এ একাডেমিকে আন্তর্জাতিক মানের করতে চাই। এখানে অনেক পুরোনো ভবন আছে। অনেক দেশের শিপিং মিনিস্ট্রির সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমি জানি আমাদের অনেক ক্যাডেট এ একাডেমি থেকে পাস করার পর জীবনে সফলতার শিখরে পৌঁছেছে। সশ্রদ্ধ চিত্তে তাদের অবদান স্মরণ করছি। তাদের এখনো মেরিন একাডেমির অগ্রজ বলে গণ্য করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমির প্রচুর অর্জন আছে।
তিনি বলেন, আগামী দুই বছরের মধ্যে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের বহরে ৬টি নতুন জাহাজ যুক্ত হবে। মেরিন একাডেমির ক্যাডেটদের সেখানে নিয়োগ দেওয়া হবে। সিলেবাস উন্নত করার জন্য বলেছি। মৌখিকভাবে আলোচনা করেছি। কিছুদিনের মধ্যে নীতিমালা করা হবে। চট্টগ্রাম ছাড়াও বাকি চারটি মেরিন একাডেমিকেও আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে চাই।
নবীন ক্যাডেটদের উদ্দেশে উপদেষ্টা বলেন, বিভিন্ন দেশে তোমরা বাংলাদেশের শুভেচ্ছা দূত। দেশের শিপিং লাইনসহ যেখানেই কাজ করবে তোমরা স্ট্যান্ডার্ড বজায় রাখবে। যাতে তোমাদের পরবর্তী ক্যাডেটদের প্রবেশ সহজ হয়। নৌ উপদেষ্টা আরো বলেন, এবার বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিতে ৩০ জন নারী ক্যাডেট প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছে, যা বেশ উৎসাহব্যঞ্জক। তিনি একাডেমিতে একটি আমগাছের চারা রোপণ করেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির কমান্ড্যান্ট (ভারপ্রাপ্ত) ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ইবনে কায়সার তৈমুর। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনসহ বাংলাদেশ নৌবাহিনী এবং চট্টগ্রাম বন্দর, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনসহ বিভিন্ন সংস্থা ও বাহিনীর সিনিয়র কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এবার ৫৮তম ব্যাচে নটিক্যাল শাখায় ১১৮ জন এবং ইঞ্জিনিয়ারিং শাখায় ১২০ জন ক্যাডেটসহ মোট ২৩৮ জন ক্যাডেট মেরিন একাডেমিতে ২ বছরের একাডেমিক ও রেজিমেন্টাল প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছে। এ বছর সমাপনী পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে নৌ শাখায় মোহাম্মদ ইবনে ফয়সাল তানভীর মজুমদার এবং প্রকৌশল শাখায় ইফফাদ হাসান অনিককে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের রৌপ্য পদক দেওয়া হয়। ৫৮তম ব্যাচ ক্যাডেটদের মধ্যে সব ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ কৃতিত্বের জন্য মোহাম্মদ মিনহাজ সাদমানকে রাষ্ট্রপতির স্বর্ণপদকে ভূষিত করা হয়। এই একাডেমির প্রশিক্ষিত ক্যাডেটরা দেশি–বিদেশি সমুদ্রগামী জাহাজে যোগদান করেন।