পটিয়ার কচুয়ায় দুই বারের নির্বাচিত সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও সাবেক ছাত্র নেতা ইনজামুল হক জসিম (৪৯) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মেয়ের জন্মদিন উপলক্ষে নগরীর ২নং গেইট এলাকায় একটি রেস্তোরাঁয় পরিবার নিয়ে খেতে গেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও এনসিপি নেতাকর্মীরা তাকে ধরে পুলিশে তুলে দেন।
জানা গেছে, মেঝ মেয়ের জন্মদিন উপলক্ষে নগরীর বাসায় কেক কেটে রাত সাড়ে ৯টার দিকে একটি রেস্টুরেন্টে পরিবার নিয়ে খেতে আসেন ইউপি চেয়ারম্যান ও আ.লীগ নেতা ইনজামুল হক জসিম।
এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও এনসিপি নেতাকর্মীরা তার উপস্থিতি বুঝতে পেরে তাকে ঘিরে ফেলেন ও পুলিশে খবর দেন। এক পর্যায়ে তিনি স্থান ত্যাগ করে চলে যেতে চাইলেও ছাত্ররা তাকে আটকিয়ে ফেলেন। পরে তাকে আটক করে পাঁচলাইশ থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। চেয়ারম্যান জসিম উপজেলা আ.লীগের সদস্য ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক।
গতকাল রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে পটিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন। গত বছর ৪ আগস্ট পটিয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার মিছিলে গুলি ও হামলার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে পটিয়া থানায় ৬টি মামলা রয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, গেল বছরের জুলাই–আগস্টে পটিয়ায় ছাত্রদের ওপর হামলার নেতৃত্ব দেন ইনজামুল হক জসিম। শনিবার রাতে তাকে দেখতে পেয়ে স্থানীয় ছাত্র–জনতা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ এসে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা তওসিফ ইমরোজ তার ফেসবুক পোস্টে জসিম চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তারের ভিডিও ও ছবি পোস্ট করে লিখেন– ‘যেসব আওয়ামী লীগের দোসররা মনে করে জুলাই হারিয়ে গেছে, তারা মুক্ত বাতাসে ঘুরত পারবে, আমি বলি তারা ঘুমের ঘোরে আছে। আমরা আওয়ামী লীগের প্রশ্নে কোনো ছাড় দেব না।’
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, ‘জসিম উদ্দিন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা ও গুলি করার মামলার ঘটনাসহ ৩ টি মামলার এজাহারনামীয় আসামি। এ তিনটি মামলায় আদালতে পাঠালে বিচারক তাকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে আরও তিনটি মামলা রয়েছে।’