মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সেবনে ঝুঁকি, সতর্কতা জরুরি

| মঙ্গলবার , ২৭ মে, ২০২৫ at ১০:১০ পূর্বাহ্ণ

ওষুধ হলো রাসায়নিক পদার্থ, যা জীবন্ত প্রাণীর শরীরে প্রয়োগ করলে জৈবিক প্রভাব তৈরি করে। মানুষ ওষুধ সেবন করে সুস্থ হওয়ার লক্ষ্যে। কিন্তু এ ওষুধ যদি হয় মেয়াদোত্তীর্ণ তবে! বেশির ভাগ মানুষই মনে করেন মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিষের সমান। মেয়াদ পার হলে এর কোনো কার্যকরী ক্ষমতা থাকে না। উল্টো বিরূপ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, যা শরীরের জন্য অনেকটা ক্ষতিকর।

বেশিরভাগ ওষুধে রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয়। এর বিশেষত্ব হলোসময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার প্রভাব পরিবর্তিত হয়। ওষুধের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম নই। বাতাস, আর্দ্রতা, তাপ ইত্যাদির কারণে অনেক সময় ওষুধের কার্যকারিতা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। যার কারণে ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও হতে পারে। সেজন্য সব ওষুধ কোম্পানি তাদের পণ্যের একটি নির্দিষ্ট তারিখ লিখে দেয়। যাতে করে যেকোনো আইনি ঝামেলা এড়ানো যায়।

এ বিষয়ে খুব বেশি তথ্য নেই। তবে জানা গেছে, কোনো ওষুধ যদি ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল আকারে হয়, তাহলে মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও এর ক্ষমতা আরও অনেক দিন থাকবে। কিন্তু সিরাপ, চোখের ড্রপ এবং ইনজেকশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ব্যবহার করা উচিত নয়।

এছাড়া, হৃদরোগীদের ওষুধও খোলার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত এর কার্যকারিতা হারায়। রক্ত, ভ্যাকসিনের মতো ওষুধগুলো নির্ধারিত সময়ের পর ব্যবহার করা উচিত নয়। তাই আমাদের ওষুধ সেবনে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ না সেবন করাই উত্তম।

মুহিবুল হাসান রাফি

শিক্ষার্থী,

সরকারি সিটি কলেজ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসুধীররঞ্জন খাস্তগীর : লেখক ও চিত্রশিল্পী
পরবর্তী নিবন্ধবাবার স্মৃতি