মেধাবীদের মেধার স্বীকৃতি দেয়া হোক

| মঙ্গলবার , ১৬ জুলাই, ২০২৪ at ৭:৩৮ পূর্বাহ্ণ

দেশের জনসংখ্যা ক্রমবর্ধমানভাবে বেড়েই চলেছে। কিন্তু সেই অনুপাতে কর্মসংস্থান বাড়ছে না। সরকারি হিসেবে দেশে এখন শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ। এই সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কোটা ব্যবস্থার কারণে সাধারণ প্রার্থীদের চাকরি পাওয়া কঠিন। দেশের সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধাস্বায়ত্তশাসিত চাকরির শতকরা ৫৬ ভাগই দখল হয়ে যায় কোটাধারীদের দ্বারা। স্কুলকলেজবিশ্ববিদ্যালয় পেরিয়ে দীর্ঘ সময় পরিশ্রম করে, অর্থ খরচ আর বাবামায়ের আশার প্রদীপ হয়ে, পড়া শেষ করে যখন দেখি চাকরির বাজারে কোনও যৌক্তিক কারণ ছাড়া আমাদেরকে পিছিয়ে রাখা হচ্ছে তখন সেটা কতটা শঙ্কা আর নিরাশার বিষয় এটা তো অস্তিত্বেরই সংকট। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষে যেটা আমাদের জীবিকা নির্বাহের প্রশ্ন, রুটি রুজির প্রশ্ন সেখানে কেন এত বৈষম্য? দেশে এখন খোদ জাতীয় কর্ম কমিশন (পিএসসি) বিসিএসের প্রশ্ন ফাঁস করে, ৫৬ শতাংশ কোটা আমরা তাহলে কোথায় যাবো? তরুণেরা আর কতভাবে ঠকবে? স্বাধীন একটা দেশে কেন অর্ধেকেরও বেশি সিট সংরক্ষিত থাকবে? কোটা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বৈষম্যমূলক। মেধাবীদের মেধার অস্বীকৃতি। কতকাল যাবৎ চলবে এই কোটা ব্যবস্থা? মেধাবীরা কি তার চেয়ে কম যোগ্যতাসম্পন্ন একজনকে তার উপরে দেখতে চাইবে? এদেশে মেধার মূল্যায়ন না করার কারণে মেধা বিদেশে পাচার হচ্ছে। ন্যায়পরায়ণতা ও বাস্তবতার স্বার্থে এই কোটা ব্যবস্থার সংস্কার জরুরি।

শরীফ হাসান

চট্টগ্রাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমহানবীর মদীনা হিজরত : হিজরী বষের্র সূচনা
পরবর্তী নিবন্ধইতিবাচক মানসিক দৃষ্টিভঙ্গি