মেধা কখনও পাচার হয় না, প্রচার হয় : অধ্যাপক কামাল উদ্দিন

| সোমবার , ২৮ অক্টোবর, ২০২৪ at ৮:১৬ অপরাহ্ণ

নগরীর প্রথম ডিজিটাল স্কুল খ্যাত সাউথ এশিয়ান স্কুলের বর্ণাঢ্য বার্ষিক সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নগরীর ষোলশহরস্থ এলজিইডি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আয়োজনের উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট গবেষক ও শিক্ষক প্রশিক্ষক অধ্যাপক ড.মীর সালেহউদ্দিন শিশির।

স্কুল প্রধান শিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ লকিতউল্লাহর সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দীন। বিশেষ অতিথি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক, এজিএম নিয়াজ উদ্দীন এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, চট্টগ্রাম এর উপ-পরিদর্শক (স্কুল)অধ্যাপক মো.আবুল বাসার, স্কুল প্রকল্প পরিচালক মো. আশরাফুল ইসলাম,অন্যতম পরিচালক ব্যাংকার মো. জিয়াউর রহমান এবং সাংবাদিক এস,এম. পারভেজ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে উদ্বোধনী বক্তব্যে ড.শামসুদ্দিন শিশির অভিভাবকবৃন্দের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘শিশুদের অযথা বকাঝকা করবেন না! তাদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে কিছু চাপিয়ে দেবেননা। লেখাপড়ার পাশাপাশি ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা দেবেন, খেলাধূলার সুযোগ করে দেবেন।’
উদ্বোধনের পর শুরু হয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ এই পর্বে ছিলো ইসলামী সংগীত, গান, আবৃত্তি,নাচ,নাটিকা ও ফ্যাশন শো। বিশেষ করে খুদে শিল্পীদের গাওয়া দেশাত্মবোধক গান ও নাচ সবার মন ছুঁয়ে যায়।

সাংস্কৃতিক পর্বের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি প্রফেসর মো. কামাল উদ্দীন বলেন, ‘মেধা পাচার হয়না মেধা প্রচার হয়!আপনারা সন্তানকে যেমন দেশীয় শিক্ষা,সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের চেতনায় গড়ে তুলবেন,তেমনি বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের সভ্যতার সাথেও পরিচিত হওয়ার সুযোগ করে দেবেন।আপনার সন্তান একদিন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হবে, সেই স্বপ্নই তাদের দেখাবেন।’

সাউথ এশিয়ান স্কুল এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আধুনিক শিক্ষা প্রদান করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অধ্যাপক নেওয়াজ উদ্দীন অভিভাবক এবং শিশুদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, শিশুদের বিকাশে এই সাংস্কৃতিক চর্চা বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মো. আবুল বাসার ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘লেখাপড়া করে তোমরা সবাই ডাক্তার বা প্রকৌশলী হবে এমন কোন কথা নেই, আসল কথা হলো ভালো মানুষ হতে হবে।প্রকল্প পরিচালক মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন,সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে গতানুগতিক শিক্ষাব্যবস্থার বিপরীতে একটি আধুনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ার স্বপ্ন থেকেই সাউথ এশিয়ান স্কুলের জন্ম।আমরা সুশিক্ষার আলোকে নতুন প্রজন্মকে গড়তে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি। সম্মানীয় অভিভাবকবৃন্দের অকুণ্ঠ সহযোগিতা আমাদের চলার পথের পাথেয়।’

বক্তব্য শেষে বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকবৃন্দের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ। সবশেষে অনুষ্ঠানের সভাপতি প্রধান শিক্ষক সৈয়দ লকিতউল্লাহ অনুষ্ঠান সফল করার জন্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে তিন বরফকলকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ১৭ চিকিৎসকসহ ৭৫ জনকে বহিষ্কার