মৃত্যুহীন দিনে চট্টগ্রামে নতুন শনাক্ত ৭০

| শনিবার , ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ৫:১৭ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৭০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন ৭০ জন। সংক্রমণের হার ৪ দশমিক ৮ শতাংশ। এ সময় করোনায় কারো মৃত্যু হয়নি।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে জানা যায়, নগরীর ৮টি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৭১৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন সংক্রমিত ৭০ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৫৮ জন ও পাঁচ উপজেলার ১২ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারীতে ৭ জন, ফটিকছড়িতে ২ জন এবং রাউজান, মিরসরাই ও বাঁশখালীতে ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৩৪ হাজার ৭৭৫ জন। এদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২৭ হাজার ২৭৪ জন ও গ্রামের ৭ হাজার ৫০১ জন। খবর বাসসের।
গতকাল করোনায় কারো মৃত্যু হয়নি। মৃতের সংখ্যা ৩৭১ জনই রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ২৭০ ও গ্রামের ১০১ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ৭০ জন। এতে মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৩২ হাজার ৫ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪ হাজার ৪১৫ জন এবং বাসা থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ২৭ হাজার ৫৯০ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হয়েছেন ২০ জন ও ছাড়পত্র নেন ১০ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৯৫৭ জন।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে গত ২৪ দিন ধরে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা একশ’র নিচে রয়েছে। চলতি মাসে একবারই শতক পেরিয়ে যায়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্ত ধরা পড়ে ২৩ ফেব্রুয়ারি। এদিন ৯৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। সংক্রমণ হার ৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এ সংখ্যা আশি থেকে ওপরে উঠেছিল ছয় দিন। শনাক্ত বাহকের সংখ্যা পঞ্চাশের নিচে নেমেছিল দুই দিন। এর একদিন করোনাকালের সর্বনিম্নের রেকর্ড হয়। এদিন ১ হাজার ২২৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২১ জনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি মেলে। সংক্রমণ হার ১ দশমিক ৭১ শতাংশ। এছাড়া, চট্টগ্রামে গত আট দিন করোনায় কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। সর্বশেষ ১৭ ফেব্রুয়ারি করোনায় এক রোগী মারা যান।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে। এখানে ৭৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৮ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৪৭৩ জনের নমুনার মধ্যে ১৮ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১১৬টি নমুনার ৯টিতে ভাইরাস পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে ১১ জন জীবাণুবাহক বলে চিহ্নিত হন। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ২টি নমুনার ১টির রেজাল্ট পজিটিভ আসে।
নগরীর তিন বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ২০২টির মধ্যে ১০টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩৯টি নমুনায় ১১টি এবং মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ১০টি নমুনা পরীক্ষা করে ২টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। এদিন চট্টগ্রামের ৩১ জনের নমুনা কঙবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় সবগুলোর ফলাফল নেগেটিভ আসে।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ১ দশমিক ১ শতাংশ, চমেকে ৩ দশমিক ৮০, সিভাসু’তে ৭ দশমিক ৭৬, চবিতে ২২ দশমিক ৯২, আরটিআরএলে ৫০ শতাংশ, শেভরনে ৪ দশমিক ৯৫, ইম্পেরিয়ালে ২৮ দশমিক ২০ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ২০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধষোলশহরে জেলা পুলিশ সুপারের নতুন কার্যালয় উদ্বোধন
পরবর্তী নিবন্ধসুখবর জানাতে আজ সংবাদ সম্মেলনে আসছেন প্রধানমন্ত্রী