১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে সীতাকুণ্ডে ভারতীয় মিত্র বাহিনীর অর্ধশতাধিক সদস্য জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তাদের স্মরণে সীতাকুণ্ড চন্দ্রনাথ মন্দির সংলগ্ন এলাকায় নির্মিত হয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মিত্র’ ভাস্কর্য। সারাদেশে মৌলবাদীদের ভাস্কর্য বিরোধী অবস্থানের কারণে গত শনিবার থেকে ভাস্কর্যের নিরাপত্তায় পুলিশের তিন জন করে সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। মৃত্যুঞ্জয়ী মিত্র ভাস্কর্যটি নির্মিত হয়েছে চন্দ্রনাথধাম তীর্থের হনুমান মন্দিরের কাছেই। নির্মিত ভাস্কর্যটির রঙ করার কাজ শেষ। উদ্বোধনী নামফলক স্থাপনের কাজ চলছে। ভাস্কর্যটির পেছনে স্মৃতিসৌধে বাংলাদেশের মানচিত্র রয়েছে। ভাস্কর্যটির সামনে করা হয়েছে ফুলের বাগান। সেটি ঘেরা দেওয়া হয়েছে। সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথধামে আসা পর্যটকদের নজর কাড়ছে ভাস্কর্যটি। তারা এর সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন। মৃত্যুঞ্জয়ী মিত্র নির্মাণে ২৩ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। এদিকে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের অর্থায়নে মৃত্যুঞ্জয়ী ভাস্কর্যটি চলতি বছরের ২৬ মার্চ উদ্বোধনের কথা থাকলেও করোনা ভাইরাসের প্রভাবের কারণে তা স্থগিত হয়ে যায়। আগামীকাল ২২ ডিসেম্বর ভাস্কর্যটি উদ্বোধন করা হবে। বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী প্রধান অতিথি হিসাবে এর উদ্বোধন করবেন। উপস্থিত থাকবেন যুদ্ধকালীন সেক্টর কমান্ডার ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি। ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মিত্র’ উদ্বোধনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ সদস্য আ.ম.ম দিলসাদ ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ হোসেন মোল্লা। এদিকে গতকাল রবিবার ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মিত্র’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুস সালাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায়, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রাশেদুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়া ও জেলা পরিষদ সদস্য আ ম ম দিলসাদ। এদিকে ভারতীয় মিত্র বাহিনীর প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধের স্থান উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের ছোটকুমিরা বাজার এলাকায় ‘স্মৃতি-৭১’ ভাস্কর্য পাহারায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সুমন বণিক।