মূল্যস্ফীতি আরও বেড়ে দুই অংক ছুঁই ছুঁই

| মঙ্গলবার , ৪ জুন, ২০২৪ at ১০:১৯ পূর্বাহ্ণ

সরকার মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনতে নানা উদ্যোগের কথা বললেও তার সুফল মিলছে না। উল্টো খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ায় মূল্যস্ফীতি বেড়ে দুই অঙ্কের কাছাকাছি পৌঁছেছে। চলতি বছরের মে মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা গেছে, পয়েন্ট টু পয়েন্ট হিসাবে মে শেষে মূল্যস্ফীতি ১৫ বেসিস পয়েন্ট বেড়েছে। এপ্রিলে এটি ছিল ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ। খবর বিডিনিউজের।

অর্থাৎ গত বছরের মে মাসে দেশে যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকায় পাওয়া যেত, সেই পণ্য বা সেবা পেতে এ বছর মে মাসে ১০৯ টাকা ৮৯ পয়সা খরচ করতে হয়েছে। বিবিএসের ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিং উইং প্রতিমাসে মাঠ পর্যায় হতে বিভিন্ন পণ্য ও সেবার মূল্য সংগ্রহ করে ভোক্তা মূল্যসূচক ও মূল্যস্ফীতির হার প্রণয়ন করে। মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির পেছনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে খাদ্যের দাম বৃদ্ধি। সবশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ৫৪ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে ১০ দশমিক ২২ শতাংশ থেকে ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ হয়েছে। তবে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে মুদ্রাস্ফীতি ১৫ বেসিস পয়েন্ট কমেছে। এটি ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ থেকে ৯ দশমিক ১৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

বিবিএসের শহর ও গ্রামে মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, গ্রামাঞ্চলে মে মাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ৪৮ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে ১০ দশমিক ৭৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এপ্রিলে যা ছিল ১০ দশমিক ২৫ শতাংশ।

খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে গ্রামাঞ্চলে মূল্যস্ফীতি এপ্রিলের ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ থেকে ২৯ বেসিস পয়েন্ট কমে মে মাসে ৯ দশমিক ৩১ শতাংশ হয়েছে। শহরাঞ্চলে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে ৬৭ বেসিস পয়েন্ট বেড়েছে। এপ্রিলের ১০ দশমিক ১৯ শতাংশ থেকে বেড়ে মে মাসে ১০ দশমিক ৮৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। খাদ্যবহির্ভূত খাতেও এ সময়ে ২ বেসিস পয়েন্ট বেড়েছে মূল্যস্ফীতি। এপ্রিলের ৯ দশমিক ০১ শতাংশ থেকে বেড়ে মে মাসে ৯ দশমিক ০৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গ্রামাঞ্চলে মে মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি এপ্রিলের তুলনায় ৭ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে ৯ দশমিক ৯২ থেকে ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে শহরাঞ্চলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ২৬ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে ৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ থেকে বেড়ে ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ হয়েছে।

২০২২২৩ সালের জুন থেকে মে পর্যন্ত ১ বছরে গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ। ২০২৩২৪ সালের একই সময়ে এটি বড় লাফ দিয়ে গড়ে ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআগ্রাবাদে ছুরিকাঘাতে তরুণ খুন
পরবর্তী নিবন্ধচমেক হাসপাতালে বাজেট বরাদ্দ কেন কম?