সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমে পেট্রোবাংলার সূত্রের বরাত দিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে দেশে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা প্রায় ৩৮০ কোটি ঘনফুট। কয়েক মাস আগেও ৩২০ থেকে ৩৩০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে। এখন সরবরাহ করা হচ্ছে মাত্র ২৭০ থেকে ২৮০ কোটি ঘনফুট। এতে বিদ্যুৎ, সারকারখানা, সিএনজি স্টেশন, আবাসিক ও শিল্প কারখানা সকল খাতেই গ্যাসের সংকট দেখা দিয়েছে। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ থেকে সিএনজি স্টেশন দিনে চারঘণ্টা বন্ধ রাখা হচ্ছে। এক খাত থেকে কমিয়ে আরেক খাতে সরবরাহ বাড়িয়ে (রেশনিং) পরিস্থিতি সামাল দেয়া যাচ্ছে না।
জাতীয় গ্রিডে সরবরাহের সক্ষমতা প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ করে সামিট গ্রুপ। কিন্তু তাদের এলএনজি টার্মিনালে মুরিং ছিড়ে যাওয়ার কারণে গ্যাস সরবরাহে সংকট তৈরি হয়েছে। অপর কোম্পানী এক্সিলারেট ও বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়ার কারণে কেনা গ্যাস জাহাজ থেকে নামাতে পারছে না। ফলে তারাও ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট থেকে কমিয়ে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ করতে পারছে মাত্র সাড়ে ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট। যা দেশের চাহিদার তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল।
অপর দিকে শেভরণ বাংলাদেশ পরিচালিত দেশের অন্যতম বৃহৎ গ্যাস ক্ষেত্র বিবিয়ানা সংস্কারে যাওয়ায় প্রতিদিন প্রায় ৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ হচ্ছে না। এতে দৈনিক গ্যাস ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে গৃহস্থালি সহ শিল্প খাতের ভোক্তাদের। বিশেষ করে শিল্পাঞ্চল সমূহে তৈরি হয়েছে বিপর্যস্ত অবস্থা। গ্যাস সংকটে উৎপাদন বন্ধ রাখতে হচ্ছে কারখানাগুলোতে। বিশেষ করে রপ্তানিমুখী শিল্প সমূহ এবং গার্মেন্টস খাতে এখন বিদেশী ক্রয়াদেশের মৌসুম থাকায় বড় ধরণের ধাক্কার সম্মুখীন হতে হবে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। দেশে গ্যাস সংকট দীর্ঘদিনের, ২০০৯ এর ২৭ অক্টোবর হতে চট্টগ্রামের শিল্পখাতে গ্যাস সংযোগ বন্ধ রাখা হয়। বন্ধ রাখা হয় বাণিজ্যিক খাতেও। মাঝে দুয়েকবার স্বল্প পরিসরে গ্যাস সরবরাহ হলেও ২০১২ সাল হতে তা একেবারে বন্ধ হয়ে যায়।
চাহিদানুযায়ী গ্যাস সংযোগ না পাওয়াতে চট্টগ্রামে শিল্পায়ন ও বিনিয়োগে স্থবিরতা নেমে আসে। ফলে দীর্ঘকাল চট্টগ্রামে নতুন করে শিল্পে বিনিয়োগ হয়নি। সে সময়ে চট্টগ্রামে প্রায় চার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ শুধু মাত্র গ্যাস সংযোগ না পাওয়াতে আলোর মুখ দেখেনি। অনেক শিল্প উদ্যোক্তা দেওলিয়া হয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশের অর্থনৈতিক এ সংকটকালীন সময়ে দেশের চলমান শিল্পায়নের সংকট নিরসনের লক্ষ্যে বিদেশ হতে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির উদ্যোগ নিয়ে চলমান গ্যাস সংকট নিরসনের জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। ২৫ এপ্রিল ২০১৮ ইং কাতার হতে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস আমদানির ব্যবস্থা গ্রহণ করে দেশে গ্যাস সরবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণ করে শিল্পায়নের ক্ষেত্রে নতুন যুগের সূচনা করেন। ১৪ আগষ্ট ২০১৮ ইং হতে বহুল প্রত্যাশিত এলএনজি সরবরাহ লাইনে প্রবেশ করে। এলএনজি একটি সহজ পরিবহন যোগ্য উচ্চমূল্যের জ্বালানি, যা শিল্পোন্নত অথচ নিজস্ব জ্বালানি নেই, এমন দেশগুলো ব্যাপকভাবে ব্যবহার করে। এলএনজি মূল্যের সাম্প্রতিক উর্ধ্বমূখী উল্লমুন বিশ্ববাজারে এটিকে সর্বাপেক্ষা অস্থায়ী ও অনিয়ন্ত্রিত মূল্যের জ্বালানিতে পরিণত করেছে।
শীতকাল এলেই দেশে গ্যাসের সংকট দেখা দেয়। শীতে গ্যাসের চাহিদাও বৃদ্ধি পায়। অনেক ক্ষেত্রে পাইপ লাইনে গ্যাস জমে যায়। এজন্য শিল্প কারখানায়, সিএনজি কিংবা বাসাবাড়িতে গ্যাসের চাপ কমে যায়। কোনো কোনো এলাকায় বন্ধ হয়ে যায় গ্যাস সরবরাহ। দেশে বর্তমানে ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি গ্যাসের সংকট শুরু হয়েছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহের পরিমাপ কমে গেছে প্রায় ৪৩ শতাংশ।
গ্যাস চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা নেমে এসেছে এক তৃতীয়াংশে। ফলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহেও তৈরি হয়েছে সমস্যা। শিল্প উৎপাদনে বিঘ্নতা সৃষ্টিতে দেশের সাম্প্রতিক অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। দেশে গ্যাসের উৎপাদন ক্রমশঃ কমে যাওয়ায় এলএনজি আমদানির মাধ্যমে ঘাটতি পুরণের চেষ্টা করা হচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও এলএনজি আমদানির ব্যবস্থা নেয়ার প্রচেষ্টা নেয়া হয়েছে।
বর্তমান বিশ্ববাজারে এলএনজির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কমেছে আমদানি। নতুন গ্যাস অনুসন্ধানেও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। এ ক্ষেত্রে গ্যাসের চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে একটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে যাচ্ছে জ্বালানি বিভাগকে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অর্থনৈতিক অগ্রগতির ধারা বজায় রাখতে হলে জ্বালানি হিসেবে গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানোর বিকল্প নেই। শিল্পের এমন কিছু খাত রয়েছে যেখানে গ্যাস ছাড়া উৎপাদনের চাকা সচল রাখা সম্ভব নয়। এ জন্য গ্যাস সংকটের স্থায়ী সমাধান জরুরি হয়ে পড়েছে।
দেশের শিল্পায়নের স্বার্থে কোনো অবস্থাতেই গ্যাস সংযোগ বন্ধ করা যাবে না। যদিওবা চট্টগ্রামের কেজিডিসিএল বিগত প্রায় একবছর ধরে ১০% শিল্প সংযোগ প্রদান বা অনুমোদন করেনি। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তে উপদেষ্টা কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত এবং জামানতের চাহিদাপত্র জমাকৃত এবং জমা করেননি এমন অনেক শিল্প ও সংযোগের জন্য অপেক্ষামান। বিশেষজ্ঞদের মতে দীর্ঘ সময় শিল্প সংযোগ এবং বর্ধিত সংযোগের জন্য আবেদন করেও বছরের অনেক সময় অতিক্রান্ত হলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এবং বিশৃঙ্খল পরিবেশের কারণে সংশ্লিষ্ট কোম্পানীর বোর্ড সভার অনুমোদনের নামে দীর্ঘসূত্রিতা এ সেক্টরে সংকট সৃষ্টি করেছে।
দেশের চলমান অর্থনীতির সফলতা এবং উন্নয়নের রোল মডেলে বাংলাদেশের যে অবস্থান এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সামগ্রিক উন্নয়নের যে ধারাবাহিক প্রক্রিয়া তা জ্বালানী খাতের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি এবং অযোগ্য এবং অদক্ষ পরিকল্পনায় ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। চলমান এ গ্যাস সংকট হতে সমাধানের জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক ও প্রজ্ঞাপূর্ণ বাস্তবসম্মত ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। চট্টগ্রাম বন্দর নগরী। চট্টগ্রাম শিল্পনগরী, চট্টগ্রাম বাণিজ্য নগরী, চট্টগ্রামে গড়ে উঠেছে দেশের প্রধানতম শিল্প নগরী বেজা। মিরেরসরাই হতে শুরু করে চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট হতে সীতাকুন্ড, পতেঙ্গা, কালুরঘাট, কর্ণফুলী, ইছানগর, আজীমনগর, বোয়ালখালী, পটিয়ায় গড়ে উঠেছে শিল্পাঞ্চল। বন্দরের অবকাঠামোগত সুযোগ সুবিধাদির কারণে চট্টগ্রামের আনাচে কানাচে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ব্যক্তি মালিকানাধীন শিল্প নগরী যা দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করছে।
চট্টগ্রামের বিভিন্ন অঞ্চলে স্বউদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এসব শিল্প সমূহে কোনো অবস্থাতেই গ্যাস সংযোগ নিরুৎসাহিত করা যাবে না। জরুরিভাবে এসব প্রতিষ্ঠানে গ্যাস সংযোগ দিতে হবে। আমলাতান্ত্রিক সিদ্ধান্তে সময় ক্ষেপণ করার কোনো সুযোগ নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো হতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে বিকল্প জ্বালানীর ব্যবস্থা করে সে গ্যাস শিল্প উদ্যোক্তাদের মাঝে নিজস্ব উদ্যোগে পরিচালিত ক্যাপটিভ, শিল্প এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করা প্রয়োজন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ হস্তক্ষেপে বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তই পারে এ সংকট হতে উত্তরণের সহজ পথ ও নির্দেশনা। দেশে আবাসিক সংযোগের জন্য আনুমানিক আড়াই লক্ষাধিক গ্রাহক জামানতের চাহিদা পত্র জমা দিয়ে দীর্ঘ ছয় বছরের অধিককাল ধরে গ্যাস সংযোগ না পেয়ে হতাশায় ভুগছে। এরা দেশের সাধারণ জনগণ। সামান্য পরিমাণ গ্যাস সরবরাহের মাধ্যমে স্বল্পসংখ্যাক জামানত প্রদানকারী আবাসিক গ্রাহককে গ্যাস সংযোগ প্রদানের মাধ্যমে বড় ধরণের রাজনৈতিক সংকট সমাধান সম্ভব।
ইতিমধ্যে মাননীয় হাইকোর্টে এ বিষয়ে একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন। মাননীয় হাইকোর্ট সংশ্লিষ্ট বিভাগকে এ বিষয়ে রুল জারি করেছেন। সংশ্লিষ্ট সকলের উচিত এ বিষয়ে জরুরি সিদ্ধান্ত নিয়ে সামান্য পরিমাণ গ্যাসের সংযোগের মাধ্যমে বিশাল একটি জনগোষ্ঠীকে সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় সামিল করানো। যত দ্রুত সম্ভব অভিজ্ঞ ও অবসরপ্রাপ্ত বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তাদের চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করে নবীন ও প্রবীণের সমন্বয়ে এ সমস্যা সমাধানে জরুরি সিদ্ধান্ত নেয়া এখন সময়ের দাবি।
অপেক্ষাকৃত কম প্রয়োজনের জায়গাগুলোতে গ্যাস সরবরাহ রেশনিং করে পরিস্থিতি সাময়িকভাবে সামাল দেয়া যায়। গ্যাসের মজুদ বৃদ্ধির জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়ন জরুরি। সাম্প্রতিেক সময়ে বঙ্গোপসাগরে ১০৩ টিসিএফ গ্যাস হাইড্রেটের তথা মিথেন গ্যাসের সন্ধান পাওয়ার কথা সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সাগরে বিপুল পরিমাণ গ্যাস হাইড্রেটের উপস্থিতিতে মজুদের সমূহ সম্ভবনা আগামী শতকে বাংলাদেশের জ্বালানি খাতের সাময়িক চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আশা করা যাচ্ছে। জাতির প্রত্যাশা সাগরের সম্পদ উত্তোলন ও আহরণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ অচিরেই কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
গ্যাস সরবরাহ এবং বিতরণের ক্ষেত্রে শিল্প বিনিয়োগকারীরা এমনিতেই আস্থাহীনতাই ভুগছে। সংযোগ পেতে বিড়ম্বনার কারণে এ সেক্টরের প্রতি সকল নাগরিকের বিরূপ মনোভাব রয়েছে। চাহিদার মাত্র ১৮% গ্যাস আমদানি এবং এলএনজির মূল্য বদ্ধি কোনো অবস্থাতেই যুক্তসংগত নয় বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। গ্যাসের যে সিস্টেম লস তা ওভারকাম করে মূল্য বৃদ্ধি এড়ানো সম্ভব।
সুতরাং সেবার মান বৃদ্ধি করে সহনশীল পর্যায়ে নিয়ে আসার এখন খুবই জরুরি। এ সময়ে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধিতে এ সেক্টরের অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি কোনোভাবেই কাম্য নয়। মূল্য বৃদ্ধির ফলে শিল্পায়নের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে। এতে শিল্পায়ন এবং কর্মসংস্থানের পথ রুদ্ধ হবে। প্রয়োজনে সার আমদানি করে চলমান সংকট মোকাবেলায় সারকারখানার অব্যবহৃত গ্যাস দিয়ে আপদকালীন সমস্যা সমাধান করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দৃষ্টি কামনা করছি। গ্যাস চালিত বিদ্যুৎ উৎপাদন নিরৎসাহিত করে পরমাণু শক্তি থেকে বিদ্যুত উৎপাদনে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রাকৃতিক গ্যাসের রিজার্ভ বাড়বে। গ্যাস সংকটের আপদকালীন সমস্যার সমাধান হবে।
বর্তমান সময়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অর্থনৈতিতে প্রায় সব সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। পুরো আমদানি নির্ভর হওয়ার ঝুঁকিতে জ্বালানি খাতের কারণে দেশের অর্থনৈতিক এ সূচক যেন রুদ্ধ না হয় এবং দেশের শিল্পায়নের যে ধারাবাহিক উন্নতি তা যেন বন্ধ হয়ে না যায়, বিনিয়োগকারীরা যাতে নিরোৎসাহিত হয়ে না পরে সে দিকে সজাগ ও সর্তক দৃষ্টি রাখতে হবে।
লেখক : প্রাবন্ধিক; সম্পাদক-শিল্পশৈলী