সমপ্রতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে দেশ ছাড়লেও কোনও ম্যাচ না জিতেই দেশে ফিরেছেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। বৃষ্টির কারণে পাকিস্তানের বিপক্ষে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে বাংলাদেশ দল প্রায় ৬ কোটি টাকা পেয়েছে। ম্যাচ না জিতলেও আর্থিকভাবে বাংলাদেশ দলের প্রাপ্তি কিন্তু কম নয়। এখন আরও একটি সুখবরের অপেক্ষাতে বাংলাদেশ দল। বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিবি ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফির পাশাপাশি বেতনও বাড়াচ্ছে। সর্বশেষ কেন্দ্রীয় চুক্তিতে গ্রেড, প্রণোদনা, অধিনায়কত্ব, ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতাসহ আরও কিছু বিষয় বিবেচনায় সর্বোচ্চ গ্রেডে থাকা ক্রিকেটার ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত বেতন পেয়েছেন। সর্বনিম্ন বেতন ছিল এক লাখ টাকা, এটা ‘ডি’ গ্রেড। নতুন কাঠামোতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। প্রণোদনা বা অন্যান্য হিসাব ছাড়াই যারা ৮ লাখ টাকা পেতেন, তারা ১০ লাখ টাকা বেতন পাবেন। সর্বনিম্ন বেতন হবে দুই লাখ টাকার মতো। টেস্টের ম্যাচ ফি ছিল ৬ লাখ, ওয়ানডের ৩ লাখ ও টি–টোয়েন্টির দুই লাখ টাকা। এবার কী পরিমাণ বেড়েছে, সে ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি। তবে অঙ্কটা যে বেশ বড় হবে, সেটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তিতে কজন ক্রিকেটার থাকবেন, সেটা প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলা হয়েছে। নতুন চুক্তিতে ক্রিকেটারদের বেতন বাড়ছে বলে বিসিবি সূত্রে জানা গেছে। কয়েকটি বিষয় পর্যালোনা করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাজমুল আবেদীন ফাহিম। বেতনের সঙ্গে ম্যাচ ফি–ও বাড়ানো হয়েছে বলে জানান তিনি। সোমবার বিসিবির ১৮তম বোর্ড সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিসিবির এই পরিচালক সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক বেড়েছে, ম্যাচ ফিও বেড়েছে। বাড়ানোর ক্ষেত্রে টেস্ট ক্রিকেটার যারা, তাদের বৃদ্ধির পরিমাণ অন্যদের তুলনায় একটু বেশি। এর মধ্য দিয়ে ওদের আগ্রহটা আমরা সুরক্ষিত করতে চাই।’ কেন্দ্রীয় চুক্তিতে কারা থাকছেন বা কজন ক্রিকেটারের জায়গা হচ্ছে, এ ব্যাপারে এখনই কিছু জানালেন না নাজমুল আবেদীন। সংখ্যাটা কমতে বা বাড়তে পারে জানিয়ে বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে সংখ্যাটা বলতে চাই না, একটা সংখ্যা আছে। সেটা বলতে চাই না। পর্যালোচনা করার পরে হয়তো বাড়তে বা কমতে পারে। পর্যালোচনার মতোই বোঝায়। তবে অনুমোদন হয়ে গেছে। এখন যেটা দেখানো হবে, সেটাই চূড়ান্ত।’