চলছে বিষণ্নময় সময়, কাটছে চিন্তামগ্ন রাত। কোথায় যেন লুকিয়ে গেছে অট্টহাসির আওয়াজ। ঢাকা পড়ে গেছে হাসি হাসি মুখ। চিন্তার ভারে অস্থির চিত্ত।রাস্তায় যেন তাকে পাহারা দিচ্ছে কেউ। কখন সে রাস্তায় যাবে আর ঠিক তখনি সে নিমজ্জিত হবে অস্তপারের সন্ধ্যাতারার মতো। এসব উটকো চিন্তায় ডুবে ছিলো এতক্ষণ রিমি। আজ প্রায় দুইমাস হলো সে ঘরের বাইরে পা রাখেনা। ঘরের কোণে চুপটি করে বসে থাকে। তার হাসিতে ভাটা পড়ে গেছে।সবার অগোচরে সে মুখ লুকিয়ে কাঁদে।কিন্তু কাউকেই কান্নার কারণ জানতে দেয়না। অজানা কালো ভয় তাকে গ্রাস করেছে। আস্তে আস্তে তার চেহারায় মৃত্যুর ছাপ পড়তে লাগলো। চোখের নিচের কালি যেন জানান দিচ্ছিলো ”এইতো রিমি আর মাত্র কিছুদিন বাকী, তখন আর তুই রাস্তায় বের হলে কেউ শিকারীর মতন ছুটে আসবেনা। কেউ আর তোকে চোখের চাহনিতে ভস্ম করবেনা। কারো চোখের কালো নজর থেকে বাঁচতে তোকে আর ছুটতে হবেনা।” চোখ দুটো স্থির হয়ে এলো রিমির। একফোঁটা জল গড়িয়ে এলো আর সেই সাথে শেষ হলো রিমির হাসিখুশি জীবনের গল্প। মুখোশের আড়ালেই রয়ে গেলো সেই ব্যক্তি যার জন্য রিমির নিত্তনৈমিত্তিক জীবনে একরাশ দুঃখ বাসা বেঁধেছিলো।