মুক্তিযোদ্ধা ও গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমান বলেছেন, জাতীয় চেতনায় উজ্জীবিত হওয়া ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়। মুক্তিযুদ্ধে গেছে একেবারে সাধারণ মানুষ। মধ্যবিত্ত আর নিম্নবিত্ত মানুষরাই যুদ্ধ করেছে। তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে। জানতে হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্পর্কে। সঠিক ইতিহাস না জেনে কোনোদিন ইতিহাস লেখা যায় না। প্রত্যক্ষদর্শীদের চেয়ে বড় সাক্ষী আর নেই।
প্রবন্ধ–গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য চট্টগ্রাম একাডেমি প্রদত্ত শিল্পশৈলী পুরস্কার গ্রহণের পর অনুভূতি জানাতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। চট্টগ্রাম একাডেমির মহাপরিচালক, চা গবেষক, প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরীর সভাপতিত্বে গত ১৮ নভেম্বর ফয়েজ নুরনাহার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কবি সাংবাদিক রাশেদ রউফ এবং আলোচনায় অংশ নেন শিক্ষাবিদ ড. আনোয়ারা আলম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক মুহাম্মদ শামসুল হক, প্রাবন্ধিক কবি অভীক ওসমান, মুক্তিযোদ্ধা কবি সাথী দাশ, কবি সাংবাদিক ওমর কায়সার, শিল্পশৈলী সম্পাদক প্রাবন্ধিক নেছার আহমদ, লেখক খনরঞ্জন রায়, কথাসাহিত্যিক দীপক বড়ুয়া, সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সভাপতি শাহ আলম নিপু। আবৃত্তিশিল্পী আয়েশা হক শিমুর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন চট্টগ্রাম একাডেমির পরিচালক জাহাঙ্গীর মিঞা, এস এম আবদুল আজিজ, শারুদ নিজাম, রেজাউল করিম স্বপন, এসএম মোখলেসুর রহমান, অধ্যাপক বাসুদেব খাস্তগীর ও ফারজানা রহমান শিমু।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমানকে দেওয়া হয় সম্মাননা ক্রেস্ট, সনদ ও নগদ অর্থ। বক্তারা বলেন, চট্টগ্রাম একাডেমি বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন পুরস্কার প্রদান করে থাকে। এর মধ্যে প্রবন্ধ ও গবেষণার জন্যে প্রদান করা হয় শিল্পশৈলী গবেষণা পুরস্কার। আজ যিনি এই পুরস্কার গ্রহণ করছেন তাঁকে শুধু মুক্তিযুদ্ধের গবেষক বললে কম হবে। তিনি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলের অথরিটি বলা যায়। যিনি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের একজন, যিনি জাতীয় বীর। দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের খুঁজে বের করে তিনি সঠিক ইতিহাস প্রজন্মের জন্য রেখে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। ডা. মাহফুজুর রহমান আড়াই হাজারের উপরে মুক্তিযোদ্ধার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গবেষণা করে যাচ্ছেন, যা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।