মুক্তিযুদ্ধকে যারা ছোট করতে চায়, তারা চব্বিশের অভ্যুথানেরও শত্রু

দ্রোহ যাত্রায় আনু মুহাম্মদ

| রবিবার , ৩ আগস্ট, ২০২৫ at ৮:৩৪ পূর্বাহ্ণ

মানুষ যে প্রত্যাশা নিয়ে গত বছর হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়েছিল, জন্ম দিয়েছিল গণঅভ্যুত্থানের, সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেছেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, চব্বিশের অভ্যুত্থানের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে হবে। ফলে নিপীড়িতবঞ্চিত মানুষের দ্রোহযাত্রাও অব্যাহত থাকবে। মুক্তিযুদ্ধকে যারা ছোট করতে চায়, তারা চব্বিশের অভ্যুথানেরও শত্রু মন্তব্য করে আনু মুহাম্মদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধ আওয়ামী লীগের সম্পত্তি নয়। মুক্তিযুদ্ধকে জনগণের দখলে আনতে হবে। চব্বিশের অভ্যুথানকেও চাঁদাবাজ ও দখলদারদের হাত থেকে জনগণের কাছে আনতে হবে। গত বছরের জুলাইআগস্টে কোটা আন্দোলন ঘিরে যে বিক্ষোভ ছড়িয়েছিল, তাতে শক্তি যুগিয়েছিল ‘দ্রোহযাত্রা’। এর বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গতকাল শনিবার একই নামে আয়োজিত কর্মসূচিতে উপরোক্ত কথা বলেন আনু মুহাম্মদ। খবর বিডিনিউজের।

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, গত বছর দ্রোহযাত্রায় অসংখ্য মানুষ যুক্ত হয়েছিল মুক্তির আশা নিয়ে, তা পূরণ হয়নি। রাষ্ট্রযন্ত্রের ভয় দেখানোর সব যন্ত্র যখন তুচ্ছ হয়ে যায়, সেই মুহূর্তটাই হচ্ছে গণঅভ্যুত্থান। ৫২, ৬৯, ৭১ ও ৯০ সালেও আমরা অভ্যুত্থান দেখেছি। সবগুলো পর্বে জনগণের শক্তি দেখেছি। কিন্তু জনগণের বিজয় দেখিনি। তিনি বলেন, অভ্যুত্থানে আহতদের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে; শহীদদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে হবে; হত্যার বিচার করতে হবে। মামলা বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী কোনো চুক্তি করা চলবে না। নারী, জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর যে আক্রমণ, তা বন্ধ করতে হবে। আদালতকে স্বাধীন ভূমিকা পালন করতে দিতে হবে। নির্বাচনে অতীতের মতো পেশীশক্তির ব্যবহার, কালো টাকার ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের পক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সামিনা লুৎফা বলেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের কোনো একক কৃতিত্ব দাবি করার সুযোগ নেই। এই অভ্যুত্থানে শ্রমিক, শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ যোগ দিয়েছিলেন। দ্রোহযাত্রা টুকরো টুকরো আলাদা মানুষকে এক করতে পেরেছিল।

আওয়ামী লীগের সরকারের সময় গুমের শিকার মাইকেল চাকমা বলেন, নতুন বাংলাদেশে যে অন্তর্ভুক্তির স্বপ্ন দেখেছিল পাহাড়ের জনগণ, তা পূরণ হয়নি। পাহাড়ে সেনাশাসন এখনো অব্যাহত আছে। আওয়ামী সরকারের নিপীড়নমূলক শাসন এখনো পাহাড়ে বহাল আছে।

সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন যাত্রাবাড়ীর শহীদ মিরাজের বাবা আব্দুর রউফ, রিকশা চালক আব্দুল কুদ্দুছ ও নারীনেত্রী সীমা দত্ত।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপেকুয়ায় অস্ত্রসহ আটক ১
পরবর্তী নিবন্ধপটিয়ায় ভিটের বিরোধে সাবেক সেনা কর্মকর্তাসহ ৬ নারী-পুরুষ আহত