এক বছরের বেশি সময় ধরে আটক থাকার পর কাশ্মীরের নেত্রী মেহবুবা মুফতিকে মুক্তি দিয়েছে ভারতের কর্তৃপক্ষ। গত বছর ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করার পর আগস্টে মুফতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ওই সময় কাশ্মীরের বহু রাজনীতিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে মুক্তি পাওয়া শেষ গুরুত্বপূর্ণ নেতা মুফতি। খবর বিডিনিউজের।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে বিলুপ্ত জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মুফতিকে মুক্তি দেওয়া হয় বলে এক টুইটে জানিয়েছেন ভারত সরকারের মুখপাত্র রোহিত কানসাল। তাকে মুক্তি দেওয়ার কারণ জানানো হয়নি।
ভারতের জননিরাপত্তা আইনে মুফতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এই আইনে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিকে বিনাবিচারে সর্বোচ্চ দুই বছর পর্যন্ত আটক রাখা যায়। মুফতির মুক্তি সংক্রান্ত আদেশে তার আটকাদেশ তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থাটি। তারা আদেশের কপিটি দেখেছে বলেও জানিয়েছে।
কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলটিকে ভারতের বাকি অংশের সঙ্গে একত্রিত করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
জম্মু ও কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন প্রত্যাহার করে এর রাজ্য মর্যাদা বিলুপ্ত করার পর অঞ্চলটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত এলাকায় ভাগ করা হয়। এসব সিদ্ধান্তে কাশ্মীরজুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদ শুরু হতে পারে আশঙ্কায় সরকার সব ধরনের মোবাইল, ইন্টারনেট ও ল্যান্ডফোনের সংযোগ বন্ধ করে দিয়ে মুফতিসহ বহু লোককে আটক করে। আটক কাশ্মীরের শীর্ষ রাজনীতিক ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ ও ওমর আবদুল্লাহকে চলতি বছরের প্রথম দিকে মুক্তি দেওয়া হয়। জননিরাপত্তা আইনে মায়ের আটকাদেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে একটি হেবিয়াস কর্পাস পিটিশন দাখিল করেছিলেন মুফতির কন্যা। আজ বৃহস্পতিবার ওই পিটিশনের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।