ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টা থেকে মীরসরাই উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত। তবে সকালে ভোটার উপস্থিতি খুব বেশি না থাকায় ভোট গ্রহণে ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে।
এদিকে নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র্যাবের ২ টিম, বিজিবি ৩ প্লাটুন, ব্যাটালিয়ন আনসার-২ সেকশন, পুলিশ মোবাইল টিম-১৯, পুলিশ স্ট্রাইকিং টিম-১০, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ১৮ ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে রয়েছেন।
মীরসরাইয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী এনায়েত হোসেন নয়নের কেন্দ্র এজেন্টকে মারধর করে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ঘোড়া প্রতীকের সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
বুধবার (৮ মে) সকাল সাড়ে ১০টা উপজেলার বড়তাকিয়া যাহেদীয়া দাখিল মাদরাসার ভোট কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের অভিযোগ এনে চিফ এজেন্ট এস এম সরোয়ার উদ্দিন বলেন, কেন্দ্রে আমাদের ১০ জন এজেন্ট ছিল। খৈয়াছড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রাবিব হাসান কেন্দ্রে প্রবেশ করে আমাদের এজেন্টদের বের করে দেন। এটা লোকাল নির্বাচন। এখানে নিজেদের মধ্যে এমন আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়।
কেন্দ্রের উপ-সচিব মোহাম্মদ ওয়াসিম জানান, আমরা ১০ বুথের এজেন্টরা এসেছিলাম। ঘোড়া প্রতীকের সমর্থক খইয়াছড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নাহিদুল হাসান রাবিব, যুবলীগ নেতা মহিউদ্দিন আমাদের এজেন্ট কার্ড ছিঁড়ে ফেলে। আমাদের টেনে হিঁচড়ে বের করে দেয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মীরসরাই উপজেলা নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম জানান, আমি সকাল থেকে এখানে অবস্থান করছি। এখানে এধরণের কোনো ঘটনা ঘটেনি। কেউ যদি নিজে থেকে চলে যায় সেক্ষেত্রে আমাদের করার কিছু নেই। প্রার্থী এসেছিলো। আমরা চলে যাওয়া এজেন্টদের আসতে বলেছি।
বড়তাকিয়া যাহেদিয়া মাদরাসা কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ওমর ফারুক জানান, সকালে যেসকল এজেন্ট এসেছে তারা কেন্দ্রে আছে। কেউ যদি চলে যায় এখানে আমার কিছু করার নাই। কেন্দ্রে ভোট সুষ্ঠু হচ্ছে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা আমার জানা মতে হয়নি।