মীরসরাইয়ে চাহিদার বেশি প্রস্তুত কোরবানির পশু

পরিচর্যায় ব্যস্ত খামারিরা

মাহবুব পলাশ, মীরসরাই | শনিবার , ২৪ মে, ২০২৫ at ৬:৪৮ পূর্বাহ্ণ

আসন্ন ঈদুল আযহা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে কোরবানির পশুর প্রস্তুতিও তুঙ্গে। মীরসরাই উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় চার শতাধিক বাণিজ্যিক ও ২০ হাজার পারিবারিক খামারি এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। গ্রাম ও খামার থেকে গরু সংগ্রহ করছেন বেপারিরাও। মীরসরাই উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্যমতে, এ বছর মীরসরাইয়ে কোরবানির পশুর চাহিদা ৫০ হাজার। তবে প্রস্তুত রয়েছে অন্তত ৫৭ হাজার পশু। অর্থাৎ, চাহিদার চেয়ে ৭ হাজার বেশি পশু রয়েছে উপজেলায়। এসব পশুর মধ্যে রয়েছে গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষ। পশু কেনাবেচার জন্য উপজেলায় ৩১টি স্থায়ী অস্থায়ী বাজার রয়েছে।

জানা গেছে, প্রতি বছর কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে উপজেলার খামারি ও কৃষকরা গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষ মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত থাকেন। দেশে গত চার বছর ভারত থেকে কোরবানির হাটে পশু কম আমদানি করায় দেশি গরুর চাহিদা ছিল বেশি। খামারিরা ভালো লাভও করেছিলেন। তাই এ বছরও কোরবানিকে সামনে রেখে দেশি গরু ও ছাগল মোটাতাজা করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন উপজেলার খামারি ও কৃষকরা। এ বছরও ভারতীয় গরু না এলে বেশ লাভবান হবেন বলে আশা করছেন তারা।

উপজেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ী মোট ৩১টি হাটে গবাদি পশু বেচাকেনা হয়। ৩১টি হাটের মধ্যে উপজেলার মীরসরাই বাজার, বড়তাকিয়া, মিঠাছড়া, জোরারগঞ্জ, বারইয়ারহাট, আবুতোরাব গরুর বাজারগুলো বড়। এসব বাজারে বিভিন্ন স্থান থেকে বেপারিরা এসে গরু কিনে ফেনী, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়ে বিক্রি করেন। এছাড়া স্থানীয় বেপারিরা বিভিন্ন এলাকার খামার ও কৃষকের বাড়ি গিয়ে গরু কিনে তা বাজারে বিক্রি করেন।

সূত্র জানায়, বর্তমানে উপজেলার প্রায় ২১ হাজার মানুষ (খামারি, কৃষক ও বেপারি) এ পেশায় রয়েছেন। খামারি ছাড়াও উপজেলার সাধারণ কৃষকরা বাড়তি উপার্জনের জন্য বাড়িতে একটি দুইটি করে গরু মোটাতাজা করেন। ঝুলনপুলের প্রান্তিক খামারি ফরহাদুল ইসলাম নয়ন জানান, গোখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় কোরবানির গরুর দাম ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বাড়তে পারে। প্রতিবেশী দেশ থেকে পশু না এলে স্থানীয় খামারিরা ভালো দাম পাবেন। স্বাভাবিক খাবার দিয়েই পশু মোটাতাজা করেছেন বলে জানান তিনি।

মীরসরাই উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জাকিরুল ফরিদ জানান, এ বছর উপজেলায় কোরবানির জন্য ৩০ হাজার গরু, ৩ হাজার মহিষ, ১৭ হাজার ছাগল ও ৭ হাজার ভেড়া প্রস্তুত রয়েছে। উদ্বৃত্ত পশু দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চাহিদা মেটাতে সহায়ক হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধলজ্জাবতী বানর : আবাসবিহীন ‘পরিবেশের বন্ধু’
পরবর্তী নিবন্ধআলোকিত মানুষ গড়ার লক্ষ্যে ভ্রাম্যমাণ বইমেলা