মির্জা ফখরুলের উচিত ছিল জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে পদ্মা সেতুতে ওঠা : তথ্যমন্ত্রী

| মঙ্গলবার , ১৫ নভেম্বর, ২০২২ at ৭:১৬ পূর্বাহ্ণ

পদ্মা সেতু নিয়ে অপপ্রচার চালানোর কারণে বিএনপিকে জাতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ক্ষমা চেয়ে পদ্মা সেতুতে ওঠা প্রয়োজন ছিল বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ফরিদপুরের সমাবেশ শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লজ্জা শরম না থাকায় চুপিসারে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে এসেছেন। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৭) অংশগ্রহণ শেষে দেশে ফিরে আয়োজিত এক মতবিনিময়
সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফরিদপুরের সমাবেশ শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকায় ফেরার বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবদের লজ্জা আসলে নেই। অবশ্য পদ্মা সেতু সবার জন্য বানানো হয়েছে। লজ্জা যদি থাকতো পদ্মা সেতুতে ওঠার আগে তাদের বলা উচিত ছিল- পদ্মা সেতু নিয়ে আমরা যে অপপ্রচার করেছি তার জন্য জাতির কাছে, জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। ক্ষমা চেয়ে পদ্মা সেতুতে ওঠা প্রয়োজন ছিল। লজ্জা শরম নেই সে জন্য চুপিসারে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে এসেছে। তবে পদ্মা সেতু সবার জন্যই প্রধানমন্ত্রী, আওয়ামী লীগ সরকার নির্মাণ করেছেন।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে কত কথা। সোনার মূল্য দিয়ে পণ্যের মূল্য বিবেচনায় নিলে হার্ডিং ব্রিজ বানাতে যে খরচ হয়েছিল সে সময়, তার অনুপাতে পাঁচ ভাগের এক ভাগ হয়েছে পদ্মা সেতুতে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন বর্তমান সরকার মেগা প্রকল্প থেকে বিধবা ভাতা পর্যন্ত সব লুটপাট করে খেয়ে নিচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, উনারা পরপর পাঁচবার বাংলাদেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছেন। চারবার এককভাবে, আরেকবার যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছেন। যারা চোর, বিশ্ব চোর তারা সবকিছুতেই চুরির গন্ধ খোঁজে। নিজেরা বিশ্ব চোর তো সেজন্য সবকিছুতে চুরির গন্ধ খোঁজে। তিনি বলেন, যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন হাওয়া ভবন বানিয়ে সব ব্যবসার মধ্যে চাঁদাবাজি করেছে। মির্জা ফখরুল একটি কথা বলেছেন এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মির্জা ফখরুল সাহেব কয়েকদিন আগে বলেছেন সরকারের পতন হলে তারেক জিয়ার নেতৃত্বে জাতীয় সরকার হবে। অর্থাৎ হাওয়া ভবনের বিশ্ব চোর আবার বাংলাদেশে আসবে এবং উনার নেতৃত্বে ওনারা জাতীয় সরকার গঠন করতে চায়। দেশের মানুষ এটা কখনো মেনে নেবে না।
জিয়ার কবর সারানো নিয়ে ‘মায়ের কান্না’ নামের একটি সংগঠনের করা দাবির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি মায়ের কান্নার দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক দাবি। যেভাবে জিয়াউর রহমান হাজার হাজার সেনাবাহিনীর অফিসার, জওয়ানদের বিনা বিচারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছেন, আজকে সারাদেশে তাদের পরিবারের সদস্যরা ঢুকরে কাঁদছে। তাদের কান্নার আওয়াজও করার সুযোগ করে দেওয়া হয়নি অতীতে। তাদের দাবি যৌক্তিক দাবি। এ দাবির প্রতি আমার সহমর্মিতা আছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ১০ বছর পর বিচার শুরু, বাবার বিরুদ্ধে ছেলের সাক্ষ্য
পরবর্তী নিবন্ধঅর্থনৈতিক সংকটেও মাথাপিছু আয় বাড়ল ২৩৩ ডলার