মিরপুর টেস্টের দলে সাকিবের বদলে মুরাদ

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শনিবার , ১৯ অক্টোবর, ২০২৪ at ১১:১২ পূর্বাহ্ণ

এ জন্যইতো বলে কারো পৌষ মাস আর কারো সর্বনাশ। যেটি হওয়ার কথা সাকিব আল হাসানের বিদায়ের মঞ্চ, সেটি হয়ে উঠল হাসান মুরাদের ফেরার উপলক্ষ্য। সাকিব দেশে ফিরতে না পারায় বাংলাদেশের টেস্ট দলে ফেরানো হলো কঙবাজারের ছেলে হাসান মুরাদকে। সাকিব না থাকা মানে ব্যাটিংবোলিং দুটিতেই শূন্যতা। সেই ঘাটতি পূরণের মতো উপযুক্ত কেউ এখনও নেই। আপাতত তার বোলিংয়ের অভাব পূরণের দিকেই বেশি গুরুত্ব দলের। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের দলে তাই যুক্ত করা হলো বাঁহাতি স্পিনার মুরাদকে। বাংলাদেশের হয়ে দুটি টিটোয়েন্টি খেললেও এখনও টেস্ট খেলার সুযোগ পাননি মুরাদ। গত বছর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের স্কোয়াডে অবশ্য ছিলেন ২৩ বছর বয়সী এই স্পিনার। ২০২০ যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য মুরাদ ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফরমারদের একজন। বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটের জন্য তাকে সম্ভাবনাময় মনে করা হচ্ছে অনেক দিন ধরেই। ৩০টি প্রথম শ্রেনীর ম্যাচ খেলে এখনও পর্যন্ত ১৩৬ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন ১২ বার। সেরা বোলিং ১১৯ রানে ৮ উইকেট। বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে পাঁচটি আনঅফিসিয়াল টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা তার আছে। গত কয়েক বছরে হাই পারফারম্যান্স স্কোয়াড ও ইমার্জিং দলগুলিতে তার ছিল নিয়মিত উপস্থিতি। মিরপুর টেস্ট শুরু হচ্ছে সোমবার। এই টেস্ট দিয়েই অবসরে যাওয়ার কথা ছিল সাকিবের। ১৫ জনের স্কোয়াডে তাকে রাখা হয়েছিল। তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরার পথে ছিলেন। তবে দুবাইয়ে যাত্রা বিরতিতেই থমকে যেতে হয় তাকে। নিরাপত্তাজনিত কারণে তাকে দেশে না ফেরার পরামর্শ দেওয়া হয়। ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া গত বৃহস্পতিবার রাতে বিবৃতিতে জানান, এই সিরিজে অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতেই আপাতত দেশে খেলতে আসার ক্ষেত্রে সাকিবকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। অলরাউন্ডার সাকিবের শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়, বলছেন, প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন। তবে মুরাদের বোলিংয়ে তাদের আস্থার কমতি নেই। তিনি বলেন আমাদেরকে জানানো হয়েছে যে, প্রথম টেস্টের জন্য সাকিবকে পাওয়া যাচ্ছে না। সে তার টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষ পর্যায়ে। তবু ব্যাটেবলে তার মতো সামর্থ্যের বিকল্প কেউ আমাদের নেই। তবে হাসান মুরাদ প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্ম করেছে এবং আমাদের সিস্টেমেই আছে অনেক দিন ধরে। আমাদের বোলিংকে ভারসাম্যপূর্ণ করবে সে। বিশেষ করে দেশের কন্ডিশনে। আমাদের বিশ্বাস এই পর্যায়ের ক্রিকেটে নিজেকে মেলে ধরার সম্ভাবনা তার আছে। স্কোয়াডে জায়গা পেলেও একাদশে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা মুরাদের কমই। সাকিব ছিটকে গেলেও দলে আরও তিনজন স্পিনার আছেন আগে থেকেই। তারা হলেন তাইজুল ইসলম, মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাঈম হাসান। এই তিনজন সবশেষ পাকিস্তান ও ভারত সফরের দলেও ছিলেন।

বাংলাদেশ টেস্ট দল : নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), জাকির হাসান, মাহমুদুল হাসান জয়, সাদমান ইসলাম, লিটন কুমার দাস, মুশফিকুর রহিম, মুমিনুল হক, হাসান মুরাদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, নাহিদ রানা, জাকের আলি, হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধক্রীড়া উপদেষ্টা চট্টগ্রাম আসছেন আজ
পরবর্তী নিবন্ধসাকিব-মাশরাফিকে খুনি মনে করেন না সালাউদ্দিন