মিয়ানমারে পৌঁছেই প্রস্তুতিতে নেমে পড়ার ইচ্ছা ছিল বাংলাদেশ দলের। কিন্তু প্রচণ্ড বৃষ্টিতে ভেসে যায় গত বুধবারের দিনটি। গতকাল বৃহস্পতিবারও বৃষ্টি বাগড়া দিয়েছে। তবে এই প্রতিকূলতার মধ্যেই আফঈদা–রিপা–মনিকারা অনুশীলন সেরেছেন কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নেওয়ার জন্য। বাহরাইনের বিপক্ষে আগামী রোববারের ম্যাচ দিয়ে এএফসি উইমেন’স এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে পথচলা শুরু করবে বাংলাদেশ। ‘সি’ গ্রুপে তাদের অন্য দুই প্রতিপক্ষ মিয়ানমার ও তুর্কমেনিস্তান। আগামী ২ জুলাই মিয়ানমার ও ৫ জুলাই তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। শেষ সময়ের প্রস্তুতি ও কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নিতে তাই হাতে সময়ও বেশি নেই মেয়েদের। এ কারণে বুধবার মিয়ানমার পৌঁছেই প্রস্তুতিতে নামার পরিকল্পনা ছিল কোচ পিটার জেমস বাটলারের। কিন্তু প্রকৃতির বাধায় কেবল জিমনেশিয়ামে ঘাম ঝরানোই সম্ভব হয়। বাটলারের সহকারী মাহমুদা আক্তার অনন্যা জানান দ্বিতীয় দিনে বৃষ্টির মধ্যেই অনুশীলন সেরে নিয়েছেন তারা।
তিনি বলেন গত বুধবার আমরা মিয়ানমারে পৌঁছেছি। আর সেদিনই আমাদের ট্রেনিং করার কথা ছিল। কিন্তু প্রচণ্ড বৃষ্টির কারণে আমরা মাঠে অনুশীলন করতে পারিনি। জিমে সময় কাটিয়েছি। বৃহস্পতিবার মাঠে অনুশীলন করলাম। এদিনও প্রচুর বৃষ্টি। এর মধ্যেই আমাদের যে ট্রেনিং, অ্যাক্টিভিটিজ আছে, সেগুলো যথাযথভাবে করেছি। সবাই সুস্থ আছে এবং ভালো আছে। ভালো অনুভূতি নিয়েই মিয়ানমারে পা রেখেছে মেয়েরা। ইন্দোনেশিয়া ও জর্ডানের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে ড্রয়ের আত্মবিশ্বাস তাদের সঙ্গী। তবে এবারের বিরুদ্ধ কন্ডিশন কিছুটা হলেও ভাবনা বাড়িয়েছে। ইয়াংগুনের এক নম্বর মাঠে অনুশীলনের ফাঁকে অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার প্রান্তি অবশ্য বললেন, বৃষ্টির মধ্যে খোশমেজাজে অনুশীলন করেছেন তারা। মিয়ানমারে আসার পর আজ আমাদের প্রথম ট্রেনিং সেশন ছিল। সবাই খুব মনোযোগ দিয়ে ট্রেনিং করেছে। কোচ যেভাবে দেখাচ্ছেন, সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। সবাই মোটামুটি ফুরফুরে মেজাজে ভালোই ট্রেনিং করেছি। বৃষ্টিতে অনুশীলন করতে ভালোই লেগেছে। যেহেতু কয়েকদিন আগে এসেছি, এখানকার কন্ডিশনের সাথে আস্তে আস্তে মানিয়ে নিতে সুবিধা হচ্ছে।