এএফসি নারী এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বের শুরুটা দুর্দান্ত করেছে বাংলাদেশ নারী দল। বেশ দাপটের সঙ্গে বাহরাইন বাধা পেরুনো বাংলাদেশের সামনে এবার সবচেয়ে বড় দেয়াল মিয়ানমার। ম্যাচটি সামনে রেখে গতকাল মঙ্গলবার মাঠের অনুশীলনে ফিরেছে মেয়েরা। সকালের সেশনে কোচ পিটার জেমস বাটলারের কাছ থেকে বুঝে নিয়েছে লড়াইয়ের ছক। অপেক্ষা এখন মাঠে নামার। স্বপ্না রানী–শাহেদা আক্তার রিপারা আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে বললেন, মিয়ানমারকে হারিয়ে লক্ষ্যপূরণের পথে বড় লাফটি দিতে চান তারা। বাছাই পর্বের ‘সি’ গ্রুপের নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ ইয়াংগুনের থুয়ান্না স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সাড়ে বেলা ৩টায় মুখোমুখি হবে দুই দল। এই মুহূর্তে দুই দলের পয়েন্ট সমান ৩ করে। তবে বাংলাদেশের চেয়ে গোল ব্যবধানে এগিয়ে গ্রুপ টেবিলে শীর্ষে মিয়ানমার। মূলত এই দুই দলের মধ্যে চলছে মূল পর্বের একটি টিকেটের লড়াই। তুর্কমেনিস্তানকে ৮–০ গোলে উড়িয়ে বাছাই শুরু করা মিয়ানমার খেলবে নিজেদের মাঠে চেনা দর্শকের সামনে। ২০২০ অলিম্পিকসের বাছাইয়ের সবশেষ দেখায় বাংলাদেশকে ৫–০ ব্যবধানে গুঁড়িয়ে দেওয়ার সুখস্মৃতিও আছে তাদের। তবে বাহরাইনের বিপক্ষে পাওয়া ৭–০ গোলের জয় আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে বাংলাদেশকেও। মিডফিল্ডার স্বপ্না রানীর কথায় সেই আত্মবিশ্বাসের স্ফুরণ।
যেহেতু এটা একটা বড় ম্যাচ, আমরা সবাই এই ম্যাচের দিকে ফোকাস করছি। মনোযোগ দিচ্ছি। আমরা কোচের নির্দেশনা অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করব। আশা করি, ভালো একটা ম্যাচ হবে। দেশবাসীকে বলব, আপনারা আমাদের আশীর্বাদ ও দোয়া করবেন, যাতে আমরা ভালো খেলে জিততে পারি। স্বপ্নার সুরে সুর মেলালেন ফরোয়ার্ড সুরভী আখন্দ প্রীতি। বাহরাইন ম্যাচে খেলার সুযোগ পাননি তিনি। ওই ম্যাচে জালের দেখা পেয়েছিলেন তহুরা খাতুন, ঋতুপর্ণা চাকমা, কোহাতি কিসকু, শামসুন্নাহার জুনিয়র ও মুনকি আক্তার। মিয়ানমার ম্যাচে সুযোগের অপেক্ষায় প্রীতি। আমরা খুব ভালো ট্রেনিং করছি। কোচ যেভাবে বলছেন, সেভাবে করার চেষ্টা করছি। এই ম্যাচে আমরা খুব ভালো ফল পাওয়ার চেষ্টা করব। যদি সুযোগ পাই চেষ্টা করব ভালো খেলার। আরেক ফরোয়ার্ড শাহেদা আক্তার রিপার কথায় ফুটে উঠল মিয়ানমারকে হারিয়ে বাছাই উৎরানোর দুর্নিবার আকাঙ্ক্ষা। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের (১২৮তম) চেয়ে মিয়ানমার (৫৫তম) যোজন যোজন এগিয়ে থাকলেও নিজেদের নিয়ে আশাবাদী রিপা। এই ফরোয়ার্ড মনে করছেন লড়াকু ম্যাচ হবে। আমরা সবাই প্রস্তুত হয়ে মাঠে নামব। আমরা চেষ্টা করব যেন ম্যাচটা জিততে পারি। কারণ এই ম্যাচটা জিততে পারলে আমরা কোয়ালিফাই করতে পারব। যদিও বাংলাদেশের চাওয়া পূরণের কাজটা কঠিন করে তুলতে পারে মিয়ানমারের আক্রমণভাগ। তুর্কমেনিস্তানের জালে হ্যাটট্রিক করেছিলেন উইন। জোড়া গোল করেছিলেন খিন মো মো তুন। বাহরাইন ম্যাচে পোস্টে অলস সময় কাটানো রুপনাকে মুখোমুখি হতে হবে কঠিন পরীক্ষার। তবে গোলকিপার কোচ মাসুদ আহমেদ উজ্জ্বলের বিশ্বাস হতাশ করবে না মেয়েরা। ম্যাচের পরিকল্পনা নিয়ে আমরা কাজ করার চেষ্টা করেছে বলে জানান এই কোচ। কীভাবে ওদের বিপক্ষে খেলব, কোচ যেভাবে চেয়েছে, মেয়েরা ওভাবে অনুশীলনের চেষ্টা করেছে এবং ভালো করেছে। আশা করছি মেয়েরা আমাদের হতাশ করবে না।