মিয়ানমারে আটকে পড়া ২০জন বাংলাদেশি নাগরিককে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। তারা হলেন, জুবায়েদ হোসেন জুয়েল, সরওয়ার কামাল, তারেক মনোওয়ার, নাজিম উদ্দীন, নূর মোহাম্মদ, মো. নজরুল ইসলাম, মো. খোকন, মো. ফাহিম, মো. হাশেম, মো. আব্দুল্লাহ, মনসুর আলম, মো. মোবারক, রফিকুল ইসলাম, আজিজুর রহমান, রবিউল আলম, মোহাম্মদ হেলাল, রফিকুল ইসলাম, মো. ফয়সাল, মো. সাজ্জাদ ও মো. আসাদ। গতকাল জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নগরীর সার্কিট হাউসে আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে তাদের হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামরুজ্জামান। এছাড়াও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, ফেরতপ্রাপ্ত নাগরিকদের পরিবারের সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, যাচাইকৃত ২০ জন বাংলাদেশি নাগরিক গত ১৩ এপ্রিল মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ বানৌজা সমুদ্র অভিযান–এ করে যাত্রা করেন এবং গতকাল চট্টগ্রামের বিএনএস ঈশা খান সমুদ্র জেটিতে অবতরণ করেন। প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে নৌবাহিনী তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করে। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের যৌথ তত্ত্বাবধানে সকলকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে আনা হয়। সার্কিট হাউসে আগে থেকেই ২০ বাংলাদেশীর অভিভাবকরা হাজির ছিলেন। ফেরতপ্রাপ্ত নাগরিকদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার ও ওয়েলফেয়ার অনুবিভাগ এবং জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে নিয়মিত পর্যবেক্ষণের আওতায় রাখা হবে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. কামরুজ্জামান বলেন, এই প্রত্যাবাসন আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার সফল প্রতিফলন। যারা এখনও বিদেশে বিপদাপন্ন অবস্থায় রয়েছেন, তাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তিনি আরও বলেন, এই ঘটনা আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে, অবৈধ ও অননুমোদিত উপায়ে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং প্রায়শই দুঃখজনক পরিণতি ডেকে আনে। দীর্ঘ সময় পর ফিরে আসা এসব নাগরিকদের অভিজ্ঞতা আমাদের জন্য সতর্কবার্তা। দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে, বৈধ ও সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ ব্যতীত বিদেশ গমনের চেষ্টা থেকে বিরত থাকুন এবং সচেতনভাবে নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।