বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মিন্নিসহ মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামির ডেথরেফারেন্স হাইকোর্টে পৌঁছেছে। সুপ্রিমকোর্টের মুখপত্র ও বিশেষ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান গতকাল এ কথা জানান। খবর বাসসের।
সকালে বরগুনা কোর্টের কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর পিকু রিফাত হত্যা মামলার বিভিন্ন নথিসহ ডেথরেফারেন্স নিয়ে আসেন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর রিফাত হত্যা মামলায় মিন্নিসহ ছয় আসামির মৃত্যুদন্ড ও ৪ জনকে খালাস দেন বিচারিক আদালত। বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ এ রায় দেন। ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী (২৩), আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), মো. হাসান (১৯) ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯)। এ মামলায় চার আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- মো. মুসা (২২), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), মো. সাগর (১৯) ও কামরুল হাসান সায়মুন (২১)। রায় ঘোষণার সময় দন্ডপ্রাপ্ত রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি, আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর এবং কামরুল ইসলাম সাইমুন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রিফাত হত্যা মামলায় ২৪ জনকে আসামি করে দুটি ভাগে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর চার্জশিট দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। এর মধ্যে ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও ১৪ জন শিশু আসামি। ২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনের সড়কে রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করে নয়ন বন্ডের গড়া কিশোর গ্যাং বন্ড গ্রুপ। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় স্ত্রী মিন্নিকে প্রথমে মামলার স্বাক্ষী করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যায় তার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাকে আসামি করা হয়। আসামিপক্ষ রায়ের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী সময়েই আপিল করার কথা জানান।