মিথ্যা মামলায় খালাস পেয়ে ওই মামলার বাদীনী প্রতারক নারী ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে এবার মামলা দায়ের করেছেন শেখ শহীদ হোসেন নামের এক ভুক্তভোগী। গতকাল রোববার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আমলী আদালত-২ এ মামলাটি দায়ের করেন তিনি। মামলায় নুর নাহার বেগম, হামজারবাগ এলাকার বাসিন্দা মোবারক আলী, রৌফাবাদের শামশুল হক, হামজারবাগ এলাকার মো. রাজু ও আবদুল জলিলকে আসামী করা হয়। আদালতের বিচারক আবু সালেম মোহাম্মদ নোমান মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন। মামলায় দন্ডবিধির ৪০৬, ৪২০, ৪৬৮, ৪৭১, ১০৯, ৫০০, ৫০১ ও ৩৪ ধারায় অভিযোগ করা হয়।
জানা যায়, ২০১৪ সালের ২০ জুলাই ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে নগরীর শুলকবহর এলাকার শেখ শহীদ হোসেনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন নুর নাহার বেগম। ওই মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে বিচারকার্য পরিচালনার এক পর্যায়ে মামলার বাদী নুর নাহার বেগম আদালতে অনুপস্থিত থাকেন। পরবর্তীতে আদালত সাক্ষীর অনুপস্থিতির কারণে ২০১৮ সালের ২৪ জানুয়ারি শেখ শহীদ হোসেনকে মামলার দায় থেকে বেকসুর খালাস দেন। এরপর ওই বছরের ৯ এপ্রিল শেখ শহীদ হোসেন ওই মামলার বাদীনীর জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) তথ্য যাচাই করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ওই টাইব্যুনালে আবেদন করেন। ওইদিনই আদালত “ভোটার আইডি জাল জালিয়াত হলে প্রার্থী দন্ডবিধি মোতাবেক মামলা দাখিল করতে পারেন” মর্মে আদেশ দেন।
এরপর ওই মামলায় বাদীনীর দেয়া জন্মসনদের সঠিকতা যাচাই করার জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৭-৮ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরের কাছে আবেদন করেন শেখ শহীদ হোসেন। এরপর নুর নাহার বেগমকে কোন জন্ম সনদ দেয়া হয়নি মর্মে প্যাডে লিখিতভাবে জানান চসিক কাউন্সিলর জেসমিন পারভীন জেসি। এরপর ওই মামলার বাদীনীসহ তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে রোববার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্্েরট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন শেখ শহীদ হোসেন।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুল আজিজ বলেন, ‘জাল জালিয়াতি করে জাতীয় পরিচয়পত্র বানিয়ে প্রতারক নুর নাহার বেগম নামের ওই মহিলা কয়েকজনের যোগসাজশে শেখ শহীদ হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা করেছিলেন। কিন্তু আদালত আমার মক্কেল শেখ শহীদ হোসেনকে বেকসুর খালাস দেন। এখন ওই বাদী ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে জাল জালিয়াতি ও মানহানির মামলা করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।’