মিথ্যা ঘোষণায় ১৯ টন আমদানি নিষিদ্ধ ঘনচিনি

চট্টগ্রাম বন্দর

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২৭ মে, ২০২২ at ৫:২৭ পূর্বাহ্ণ

চীন থেকে ঢাকার বংশালের ডিএসএস এন্টারপ্রাইজের সোডা অ্যাশ লাইট ঘোষণায় ১৯ টন আমদানি নিষিদ্ধ ঘনচিনি (সোডিয়াম সাইক্লেম্যাট) নিয়ে এসেছে। ঘনচিনি সাধারণ চিনির তুলনায় ৫০ গুণ বেশি মিষ্টি, এই চিনি ক্যান্সার সৃষ্টির উপাদান রয়েছে বলে জানান চট্টগ্রাম কাস্টমসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার কর্মকর্তারা। গত বুধবার মিথ্যা ঘোষণায় আসা কন্টেনারটি শতভাগ কায়িক পরীক্ষা শেষে আটক করার বিষয়টি গতকাল দৈনিক আজাদীকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার সালাহ উদ্দিন রিজভী। চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ মে চীনের জিনদাও বন্দর থেকে ‘এইচআর হেরা’ জাহাজযোগে আটক কন্টেনারটি চট্টগ্রাম বন্দরে এলে কাস্টমসের চট্টগ্রামের পোর্ট কনট্রোল ইউনিট (পিসিইউ) রিস্ক ম্যানেজমেন্ট অ্যানালাইসিসের আওতায় বিল অব লেডিংটি এনবিআরের অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে ব্লক করা হয়।

আমদানিকারক চালানটি খালাসের প্রক্রিয়া শুরু না করায় কাস্টম হাউসের এআইআর শাখার কর্মকর্তাদের সহায়তায় গত বুধবার শতভাগ কায়িক পরীক্ষার লক্ষ্যে কন্টেনারটি নেমসন কন্টেনার ডিপোতে ফোর্স কিপ ডাউন করা হয়। এরপর কায়িক পরীক্ষাকালে পণ্যের বস্তার ওপর আমদানিকারকের নাম ও অন্যান্য তথ্য সম্বলিত অপসারণযোগ্য স্টিকার পাওয়া যায়। এছাড়া বস্তার ভিতরে লুকানো আমদানি নিষিদ্ধ ঘনচিনি পাওয়া যায়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়ে মিথ্যা ঘোষণায় আমদানি করা ১৯ টন ঘনচিনি ও এক টন সোডা অ্যাশ আটক করা হয়।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার সালাহ উদ্দিন রিজভী বলেন, সোডা অ্যাশ ঘোষণায় আমদানি নিষিদ্ধ সোডিয়াম সাইক্লেমেট বা ঘনচিনি আমদানি করার আমদানিকারকের বিরুদ্ধে কাস্টমস অ্যাক্টে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ঘনচিনি আমাদের দেশে বিভিন্ন বেকারি ও মিষ্টান্ন পণ্য, বেভারেজ, চকলেট, কনডেন্সমিল্ক ও আইসক্রিমে ব্যবহার হয়ে আসছে। ঘনচিনি দিয়ে তৈরি খাবার মানব দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এর ফলে ক্যান্সার, কিডনি ও লিভার বিকল, হৃদরোগ, ডায়াবেটিসহ নানা জটিল রোগ হতে পারে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় সরকার ২০০৬ সালে ঘনচিনি আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য হিসেবে তালিকাভুক্ত করে।

উল্লেখ্য, এর আগে গত বছরের মার্চে চুনপাথরের উপকরণ ক্যালসিয়াম কার্বনেট এবং সোডার উপকরণ ডিসোডিয়াম কার্বনেট ঘোষণায় আমদানি নিষিদ্ধ ‘ঘনচিনি’ বা সোডিয়াম সাইক্লামেট নিয়ে আসে ঢাকার দুই আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সাদাত ট্রেড সেন্টার ও সুজানা ট্রেডিং। এরমধ্যে সাদাত ট্রেড সেন্টারের নামে ৬৯ টন ও সুজানা ট্রেডিংয়ের নামে আসে ২০ টন ঘনচিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহজের খরচ বাড়ল ৫৯ হাজার টাকা
পরবর্তী নিবন্ধপাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে দায়মুক্তির ঘোষণা আসছে : অর্থমন্ত্রী