শুল্ক ফাঁকি দিয়ে মিথ্য ঘোষণায় বিদেশি মদ আমদানি এবং জাল–জালিয়াতি করে সে মদ খালাস চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। ধৃতরা হচ্ছেন মো. আশরাফ হোসেন রাজু (৩৫) ও খায়েজ আহম্মেদ আরিফ (৩০)। এর মধ্যে কাতারের দোহা পালানোর সময় রাজুকে সোমবার সকাল ১১টার দিকে ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে এবং আরিফকে একইদিন রাত ১০টায় ফেনী খাজুরিয়া তোফা বাইক জোন নামে একটি দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে দুইটি মোবাইল ফোন ও পাসপোর্ট জব্দ করা হয়। ধৃতরা পেশাদার চোরাচালান চক্রের সক্রিয় সদস্য বলে জানায় পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় মাদক, মানি লন্ডারিং, চোরাচালান সংক্রান্ত একাধিক মামলা রয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সিএমপি’র সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাজু সিএন্ডএফ এজেন্ট হাফেজ ট্রেডিং প্রাইভেট লিমিটেডের প্রতিনিধি হিসাবে শিপিং এজেন্ট প্রতিষ্ঠান ‘আটলান্টিক ইন্টারন্যাশনাল’ এর কাছে নিজ ছবি সম্বলিত ভুয়া নাম–ঠিকানাযুক্ত পরিচয় পত্রসহ আমদানি সংক্রান্ত জাল দলিলাদি দাখিল করে প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করে গত বছরের সেপ্টেম্বরে বিদেশি মদ খালাসের চেষ্টা করে। এছাড়া খায়েজ আহম্মেদ আরিফ আমদানিকৃত পণ্য খালাসের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সৃষ্টিতে তার সংশ্লিষ্টতার কথা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে।
পুলিশ জানায়, বিদেশি মদ খালাস চেষ্টার ঘটনায় বন্দর থানায় গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর একটি মামলা হয়েছে। ধৃত দুজনই ওই মামলার আসামি। চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের বিভিন্ন স্তরের একাধিক কর্মকর্তাদের নামে বরাদ্দকৃত অ্যাসাইকুডা’র আইডি ও পাসওয়ার্ড–এর সন্দেহজনক ব্যবহারসহ অ্যাসাইকুডা’র এর সেকেন্ড লেয়ার নিরাপত্তা ব্যবস্থা (ওটিপি) বিঘ্নিত হয়েছে বলে কাস্টমসের আভ্যন্তরীণ প্রাথমিক অনুসন্ধান রিপোর্ট পর্যালোচনায় জানা গেছে।