চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানা এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবর্ষণ করে দোকান কর্মচারী সায়মান প্রকাশ মাহিন হত্যা মামলার পলাতক আসামি অস্ত্রধারী মো. ফিরোজ (৩৬) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭।
২৪ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) সকালে ফেনী জেলার ফেনী সদর মডেল থানাধীন রামপুরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. শরীফ-উল-আলম।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত ১৮ জুলাই নগরীর চান্দগাঁও এলাকায় ছাত্র জনতা বিক্ষোভ মিছিল এবং অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন। ছাত্রজনতার উক্ত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে দোকান কর্মচারী সায়মান প্রকাশ মাহিন (১৬) অংশগ্রহণ করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
আন্দোলন মহানগরের যুবলীগ নেতা ও অস্ত্রধারী মো. ফিরোজ এবং অন্যান্য দুস্কৃতিকারীরা ছাত্র জনতার বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের উপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করেন।
এছাড়াও আসামিরা হকি স্টিক, কিরিচ, দা ও লাঠি-সোটা দিয়ে ছাত্র জনতাকে পিটিয়ে এবং ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি করেন। এ সময় ভিকটিম সায়মান প্রকাশ মাহিন আন্দোলন কর্মসূচির স্থান থেকে দৌঁড়ে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করলে অস্ত্রধারী মো. ফিরোজ এবং অন্যান্য দৃষ্কতিকারীরা অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা গুলি নিক্ষেপ করলে ভিকটিম গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
আহত ভিকটিমকে হত্যার উদ্দেশ্যে দুষ্কৃতিকারীরা তাদের হাতে থাকা লাঠি-সোটা, লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ভিকটিমকে মৃত ভেবে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন এবং অন্যান্য ছাত্র-জনতা ভিকটিম মাহিন’কে আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ভিকটিম মাহিন এর বন্ধু মোহাম্মদ শরীফ বাদী হয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানায় ৪৪ জন এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাতনামা ২০/৩০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ মামলার পলাতক আসামি মো. ফিরোজকে বৃহস্পতিবার সকালে ফেনী জেলার ফেনী সদর মডেল থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের রামপুরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন।
গ্রেপ্তার মো. ফিরোজ নগরীর চান্দগাঁও থানার মুরাদপুর এলকার আব্দুল হামিদ এর ছেলে। র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. শরীফ-উল-আলম বলেন, ‘গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন থানায় হত্যা, অস্ত্র, নাশকতা, মাদক এবং ছিনতাইসহ ৫টি মামলা রয়েছে। আমরা পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে চান্দগাঁও থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করেছি।’