মাহবুব উল আলম চৌধুরীর নামে হবে লাইব্রেরি অংশের নামকরণ

চসিকের পাবলিক লাইব্রেরি ভবন

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ৩০ জুন, ২০২২ at ৫:৫৮ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) সাধারণ সভায় অনুমোদনের দীর্ঘ সাড়ে সাত বছর পর সংস্থাটির মালিকানাধীন পাবলিক লাইব্রেরি ভবনের লাইব্রেরি অংশ ‘ভাষা সৈনিক কবি মাহবুব উল আলম চৌধুরী’ এর নামে হতে যাচ্ছে। গত ২৩ জুন এ নামকরণের প্রশাসনিক অনুমোদন দিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। তবে গতকাল বুধবার অনুমোদন কপি পেয়েছে চসিক। জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় চসিকের ৪র্থ নির্বাচিত পরিষদের ৫৫ তম সাধারণ সভা। তৎকালীন মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল, ভাষা সৈনিক ও একুশের প্রথম কবিতা রচয়িতা কবি মাহবুব উল আলম চৌধুরীর নামে লালদীঘি পাড়স্থ পাবলিক লাইব্রেরির ভবনের নামকরণ করা হবে’। পরবর্তীতে এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন চেয়ে পত্র দিলেও কোনো সাড়া দেয়নি। সর্বশেষ গত ২৭ এপ্রিল পাঁচ বছর আগের সাধারণ সভার সিদ্ধান্তের অনুমোদন চেয়ে আবারো স্থানীয় সরকার বিভাগে চিঠি দেয় চসিক। এরপ্রেক্ষিতে গত ২৩ জুন এ নামকরণের প্রশাসনিক অনুমোদন দেয়া হয়।

এ বিষয়ে চসিককে দেয়া স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পত্রে বলা হয়, সিটি কর্পোরেশনের সড়ক, ভবন ও স্থাপনা নামকরণ নীতিমালা, ২০১৪ অনুযায়ী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রস্তাব মতে পাবলিক লাইব্রেরি ভবনের লাইব্রেরি অংশ ‘ভাষা সৈনিক কবি মাহবুব উল আলম চৌধুরী’ এর নামে নামকরণের প্রশাসনিক অনুমোদন করা হলো।

চসিক সূত্রে জানা গেছে, লালদীঘি পাড়ে ১৮৫৮ সালে নির্মিত ভবনে ১৯০৪ সালে যাত্রা শুরু হয়েছিল পাবলিক লাইব্রেরির। এটি ছিল চট্টগ্রামের প্রথম পাবলিক লাইব্রেরি। তখন এর নাম ছিল ‘চিটাগাং মিউনিসিপ্যাল লাইব্রেরি’। যে ভবনে লাইব্রেরি গড়ে তোলা হয় ওই ভবনটি চট্টগ্রাম পৌরসভার প্রথম অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। পৌরসভার অফিস ১৯২৩ সালে আন্দরকিল্লায় স্থানান্তর করা হলেও পাবলিক লাইব্রেরি লালদীঘিতেই থেকে যায়। পুরাতন লাইব্রেরি ভবন ভেঙে নতুন করে বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। নতুন ভবনে ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর লাইব্রেরি কার্যক্রম শুরু হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকোরবানীতে লবণের কৃত্রিম সঙ্কট করলে ব্যবস্থা : ভোক্তা অধিকার
পরবর্তী নিবন্ধলবণ উৎপাদনে রেকর্ড