স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীগুলোর মধ্যে মাস্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। করোনার এই সময়ে আমাদের জন্য ঘরে-বাইরে মাস্ক ব্যবহার অতি প্রয়োজনীয় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ঘরের বাইরে গেলে মাস্ক সাথে করে নিয়ে যাওয়ার অভ্যাসটা করোনার সময় এ প্রায় অর্ধেক মানুষ নতুন করে শিখেছে। করোনা আসার পূর্বে যারা স্বাস্থ্য সচেতন ছিলেন তারাই একমাত্র মাস্ক ব্যবহার করতেন।
করোনার এই কঠিন সময়ে মাস্ক ব্যবহার করাটা সবার জন্য অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু, আমাদের দেশে স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না কেউ। রাস্তাঘাটে, গণপরিবহনে কিংবা হাট-বাজারের চিত্র আগের মতোই স্বাভাবিক। মানুষ মাস্ক পরছেন না, সামাজিক দূরত্বও মানছেন না। মাস্ক ব্যবহারে অনীহা দেখে মনে হবে দেশে করোনার অস্তিত্ব নেই! অনেকে মাস্ক নিয়ে বের হচ্ছেন ঠিকই কিন্তু মাস্ক মুখেই থাকে না, থাকে হাতে কিংবা ব্যাগের ভিতর! অনেকে বলেন যে, মাস্ক মুখে থাকলে গরম লাগে!
তবে বাস্তবে আক্রান্তের হার কিছুটা নিম্নমুখী হলেও সংক্রমণ কিন্তু থেমে নেই। সতর্ক না হলে সংক্রমণের মাত্রা ফের বেড়ে যাবে। আসছে শীতকালে করোনার দ্বিতীয় প্রকোপ শুরু হবে। তার আগেই যদি সাধারণ মানুষকে মাস্ক ব্যবহারে উৎসাহ, সচেতনতা সৃষ্টি করা না যায় তবে আমাদের পরিণতি অনেক ভয়াবহ হবে। করোনার হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে সাধারণ মানুষকে মাস্ক পরানোর বিকল্প নেই। তাদের মাস্ক পরানোই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। শুধু তাই নয় মাস্ক ব্যবহার করে সুনির্দিষ্ট জায়গায় ফেলার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে।
মাস্ক ব্যবহারের প্রতি সচেতনতা বাড়াতে সামাজিক – সাংস্কৃতিক সংগঠন, সরকার ও সচেতন নাগরিকদের এগিয়ে আসতে হবে। প্রত্যেকেই যে যার অবস্থান থেকে সাধারণ মানুষদের যদি মাস্ক ব্যবহারে সচেতন করতে পারেন, তবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখাটা সহজ হবে।