চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. জামান আহম্মদ বলেন, নতুন স্ট্রেইনের করোনায় আমরা লক্ষ্য করছি যেসব রোগী আসছেন তারা ২০ থেকে ৩০ শতাংশ ফুসফুসের সমস্যা নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন। রোগীর অবস্থা ভেতরে ভেতরে খারাপ হয়ে যাচ্ছে। আবার অক্সিজেন স্যাচুরেশনও কমে যাচ্ছে। আমাদের অভিমত হচ্ছে, এক্ষেত্রে শুধুমাত্র মাস্ক পরলে ৫০ শতাংশ সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, গত দুই মাস ধরে আমরা যে যার খুশিমতো দেশের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে আত্মীয়ের বাড়িতে ঘুরাফেরা করেছি। কেউ কোনো ধরনের নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা করেনি। যার প্রভাবে আজকের এই করোনার ঊর্ধ্বগতি। এছাড়া মিছিল মিটিংয়ে বড় বড় জমায়েত হয়েছে। ওখানে ৯০ শতাংশ মানুষের মুখে মাস্ক ছিল না। অনেকে বিভিন্ন জেলা থেকে এসে ওইসব মিছিল মিটিংয়ে এটেন্ড করেছেন। যার ফলে করোনা দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। তবে আমাদের এখন আবারও কঠোর হতে হবে। এভাবে চলতে থাকলে করোনা ভাইরাসকে প্রতিরোধ করা খুব দুরূহ হয়ে যাবে।