ম্যাজিস্ট্রেট আসতে দেখে অনেকেই পকেটে রাখা মাস্ক লাগিয়ে নিলেন মুখে। এছাড়া কেউ গায়ের পরিধেয় শার্ট, গামছা, হাত দিয়ে মুখ ঢেকে দূরে সরে পড়েন। এরপরও ছাড় নেই। সামনে যাদের পেয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাদের অর্থদণ্ড দিয়েছেন। গতকাল নগরীর কোতোয়ালী ও নিউমার্কেট এলাকায় জেলা প্রশাসনের পৃথক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে এই দৃশ্য দেখা যায়। অভিযান পরিচালনা করছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক, রেজওয়ানা আফরিন ও নুরজাহান আক্তার।
জানা গেছে, নগরীর নিউমার্কেট ও কোতোয়ালী এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক অভিযান চালিয়ে ৫৩ জনকে ৯ হাজার ৩৩০ টাকা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা আফরিন জামালখান ও জিইসি মোড়ে অভিযান চালিয়ে রেজওয়ানা আফরিন জামাল খান ও জিইসি মোড় এলাকায় ২০ জনকে ১৫শ টাকা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরজাহান আক্তার সাথী দামপাড়া এলাকায় ৭ জনকে ৪৭০ টাকা জরিমানা করেন। জরিমানার পাশাপাশি অনেকেরই মাঝে মাস্কও বিতরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে অভিযান চালাতে গিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা বিভিন্ন অভিজ্ঞতার মধ্যে পড়েছেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক জানান, করোনার সম্ভাব্য সেকেন্ড ওয়েভকে সামনে রেখে মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত আমরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি। কিন্তু অনেকেই অবহেলা করে মাস্ক পরিধান না করে জনাকীর্ণ এলাকায় ঘোরাঘুরি করছেন যা স্বাস্থ্য বিধির সম্পূর্ণ লঙ্ঘন। এটা নিজেদের পাশাপাশি অন্যদেরও স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলছে। চাকুরিজীবী, দোকানি, পথচারী থেকে শুরু করে সব শ্রেণিপেশার মানুষের মধ্যে মাস্ক না পরার প্রবণতা দেখা গেছে। তিনি বলেন, অনেকেই অবহেলা করে মাস্ক না পড়ে চলাচল করছেন। কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেট দেখলে তারা মাস্ক পকেট থেকে নিয়ে দ্রুত মুখে লাগিয়ে নিচ্ছেন। এছাড়া অনেককেই দেখা গেছে শার্ট, গামছা, হাত দিয়ে মুখ ঢেকে গলি বা দোকানের ভেতর ঢুকে পড়ছেন। তবে আগের তুলনায় এখন সাধারণ লোকজনের মাস্ক ব্যবহারের উপর আগ্রহ বেড়েছে বলে জানান তিনি।