কক্সবাজার শহরের মাঝির ঘাট এলাকায় একটি মাছধরা ট্রলার থেকে ইয়াবা জব্দের মামলায় ট্রলার মালিক সুলতান আহমদকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরো ২ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়। এছাড়া এই মামলার বাকী ৮ আসামির প্রত্যেককে ৭ বছর কারাদণ্ড ও নগদ এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে তাদের প্রত্যেককে ১ বছরের করে কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়। গতকাল দুপুরে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ইসমাইল এই রায় ঘোষণা করেন। ট্রলার মালিক সুলতান আহামদ কক্সবাজার শহরের রুমালিয়ারছড়া এলাকার মো. আবু বকরের ছেলে। বাকী দন্ডিত আসামীরা হল– আবদুর রউফ, মো: আবদুর রাজ্জাক মিয়া, মিজানুর রহমান, মো. হাবিবুল্লাহ, জাহিদ হোসেন, মো. জাহাঙ্গীর, মো. আবদুল হামিদ, মো. ওসমান গনি, মো. সুলতান আহমেদ। বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম জানান, রায় ঘোষণার সময় সকল আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল।
তিনি জানান, ২০১৭ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি শহরের মাঝির ঘাট এলাকায় সুলতান আহমেদের ট্রলার থেকে সাড়ে ৪ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করে র্যাব। এসময় ওই ট্রলারে থাকা ৮ জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে সুলতান আহমেদের বাড়ি থেকে আরও ৫০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালত এ রায় দেন।