সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপে জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ। স্বাগতিক শ্রীলংকাকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করা লাল-সবুজ জার্সিধারী কিশোররা দ্বিতীয় ম্যাচে উড়িয়ে দিয়েছে মালদ্বীপকে। গতকাল বুধবার শ্রীলংকায় অনুষ্ঠিত ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে ৫-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে। এই জয়ের ফলে টানা দুই ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ খেলেছে ‘এ’ গ্রুপে। সেমিফাইনালে বাংলাদেশ দল লড়বে ‘বি’ গ্রুপের রানার্সআপ দলের সঙ্গে। আর ‘বি’ গ্রুপের ৩ দল যথাক্রমে ভারত, নেপাল ও ভুটান।
গতকালের ম্যাচের শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি করে খেলতে থাকে বাংলাদেশ। আর সে সুবাধে গোল আদায় করে নিতে বেশি সময় নেয়নি বাংলাদেশ দলের তরুন ফুটবলাররা। খেলার পঞ্চম মিনিটে ফয়সালের গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। বাঁ প্রান্ত ধরে দারুণ ড্রিবলিংয়ে মালদ্বীপের ডি-বঙে ঢুকে পড়েন মিরাজুল ইসলাম। মিরাজের কাটব্যাকে বল পেয়ে ফাঁকায় থাকা নাজমুল হুদা ফয়সাল গোলরক্ষককে একা পেয়ে সহজেই বল জালে জড়িয়ে দেন। ফলে শুরুতেই এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।যদিও দ্বিতীয় গোল পেতে আরো ৩২ মিনিট অপেক্ষা করতে হয় তাদের। খেলার ৩৭ মিনিটে মুর্শেদ আলী গোল করলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। মাঝমাঠ থেকে চন্দন রায়ের লম্বা ক্রস বঙের বাঁ প্রান্তে পেয়ে যান মুর্শেদ। মালদ্বীপের এক ডিফেন্ডারকে ছিটকে ফেলে দিয়ে খানিকটা ভেতরে ঢুকে ডান পায়ের শটে কাছের পোস্টে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। আসরে এটি তার তৃতীয় গোল। বিরতি থেকে ফিরে আক্রমানের ধার আরো বাড়াতে থাকে বাংলাদেশ দলের তরুনরা। যদিও একের পর এক আক্রমণ করেও দ্বিতীয়ার্ধে গোল পেতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৭৫ মিনিট পর্যন্ত। খেলার ৭৫ মিনিটে নাজমুল হুদা ফয়সালের বাড়ানো পাসে বঙের কোনাকুনি থেকে ডান পায়ের শটে দূরের পোস্টে লক্ষ্যভেদ করে মিরাজুল। ব্যবধান দাড়ায় ৩-০। এর তিন মিনিট পর মিরাজুল ইসলাম আরো একটি গোল করলে বাংলাদেশের লিড দাঁড়ায় ৪-০। এরপরও একাধিক গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল বাংলাদেশের কিশোররা। কিন্তু ব্যবধান আর বাড়াতে পারছিল না। খেলার একেবারে ইনজুরি সময়ে মিরাজুল হ্যাটট্রিক পূরণ করলে ৫-০ গোলের জয় নিয়ে গ্রুপ পর্ব শেষ করে ফয়সাল-ইমরানরা। এখন সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ কোন দল আসে তার জন্য অপেক্ষা বাংলাদেশ দলের। টুর্নামেন্টের শুরুটা যেভাবে করেছে বাংলাদেশ তাতে শিরোপা জেতার আশা করতেই পারে বাংলাদেশের কিশোররা।












