চট্টগ্রাম কাস্টমসের গতকাল অনুষ্ঠিত অনলাইন নিলামে ১৬ কোটি টাকার মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়ির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ৬ কোটি ৫২ লাখ টাকা। আবদুল ওয়াহেদ নামের এক ব্যক্তি এই দর হাঁকে। চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের তৈরি গাড়িটিতে তিনটি বিড পড়ে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দর হাঁকে আশিয়ান ফুড ৬ কোটি ১১ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং একেএম নিট ওয়্যার দর হাঁকে ৬ কোটি ২ লাখ টাকা। এছাড়া ফেব্রিক্সসহ নানা ধরণের পণ্য নিলামে তোলা হয়।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ–কমিশনার সাইদুল ইসলাম দৈনিক আজাদীকে বলেন, চট্টগ্রাম কাস্টমসে মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়িসহ ৪৬ লট পণ্যের মধ্যে একটি লট স্থগিত করা হয়। ২৬ লটে দরপত্র জমা পড়েছে। এরমধ্যে ১৬ কোটি মার্সিডিজ বেঞ্জের দর উঠেছে ৬ কোটি ৫২ লাখ টাকা। নিলাম কমিটি যাচাই বাছাই করে সর্বোচ্চ দরদাতার অনূকুলে বিক্রয় অনুমোদন দিবেন।
উল্লেখ্য, আমদানিকৃত পণ্য জাহাজ থেকে বন্দর ইয়ার্ডে নামার ৩০ দিনের মধ্যে সরবরাহ নিতে হয়। এই সময়ের মধ্যে কোনো আমদানিকারক পণ্য সরবরাহ না নিলে তাকে নোটিশ দেয় কাস্টমস। নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে এই পণ্য সরবরাহ না নিলে তা নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এছাড়া মিথ্যা ঘোষণায় জব্দ পণ্যও নিলামে তোলা যায়। সর্বমোট ৪৫ দিনের মধ্যে নিলামে তোলার এই নিয়ম দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর করতে পারেনি বন্দর ও কাস্টমস। এতে করে বন্দরের ইয়ার্ডে এসব কন্টেনার পড়ে থাকে। আমদানি পণ্য যথাসময়ে খালাস না নেয়ায় বন্দরগুলোতে প্রায়ই কন্টেনার জট লাগে। দিনের পর দিন কন্টেনার পড়ে থাকলেও বন্দর কর্তৃপক্ষও চার্জ পায় না।