আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম কারিগর গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। গতকাল ঢাকায় আসেন মার্টিনেজ। তার সঙ্গে দেখা করেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। নিজে আর্জেন্টিনার সমর্থক হওয়ায় মার্টিনেজের সঙ্গে দেখা করতে পারায় দারুণ উচ্ছ্বসিত মাশরাফি। মার্টিনেজের সঙ্গে দেখা করার পর নিজের ফেসবুক পেজে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন মাশরাফি। এমিলিয়ানো মার্টিনেজকে বাংলাদেশে এনেছে নেক্সট ভেঞ্চারের ফান্ডেডনেক্সট নামক আইটি কোম্পানি। নেক্সট ভেঞ্চার কার্যালয়ে মার্তিনেসের সঙ্গে প্রায় আধঘণ্টা সময় কাটিয়েছেন মাশরাফি। এরপরই মার্টিনেজকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট দিয়েছেন সাবেক এই অধিনায়ক। পোস্টে মাশরাফি বলেন, ‘এমিকে ভালো লাগার শুরু কোপা আমেরিকা থেকেই, যেখানে সে টাইব্রেকারে দুটি গোল আটকে দিয়ে দলকে জয় এনে দিল। কত বছর পর বড় কোনো শিরোপা জিতল আর্জেন্টিনা! লিওনেল মেসিও পেল দেশের হয়ে প্রথম বড় ট্রফির স্বাদ। স্বাভাবিকভাবেই পাখির চোখে তাকিয়ে ছিলাম বিশ্বকাপের দিকে। কিন্তু সৌদি আরবের সাথে হেরে মনে হয়েছিল, আরেকটি বিশ্বকাপও হয়তো শেষ হবে হতাশায়। কিন্তু অবিশ্বাস্য ভাবে ঘুরে দাঁড়ানো এবং পরে বিশ্বকাপ জয় দেখতে পারাটা ছিল অনেক দিনের লালিত স্বপ্ন পূরণের মতো। মাশরাফি বলেন, সেই জয়ের অন্যতম নায়ক এমির সঙ্গে দেখা হলো আমাদের এই ঢাকায়। খুব অল্প সময়ের জন্য দেখা, কিন্তু দারুণ এক অনুভূতি। বিশ্বকাপজয়ী দলের গোলকিপার চোখের সামনে! সে তো জানে না, আমার এবং আমার মতো আরও কত কোটি মানুষের কত বছরের অপেক্ষা শেষ হলো, যেদিন তার ঐ হাত ধরেই আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয় করল! আজকে সে ইন্টারভিউয়ের মাঝেই একবার ট্রাউজার উঠিয়ে দেখাল, পায়ের ঠিক সেই জায়গায় একটি ট্যাটু করিয়েছে, বিশ্বকাপ ফাইনালে শেষ বাঁশির ১৮ সেকেন্ড আগে কোলো মুয়ানির শটটি আটকিয়ে দিয়েছিল যে জায়গা দিয়ে। এক সেকেন্ডের জন্য মনে হলো, আসলে বিশ্বকাপটাতো ওখানেই জিতে নিয়েছে। নিজের সন্তানদের প্রসঙ্গ টেনে মাশরাফি লিখেছেন, আজকে আসলে বেশি ভালো লাগছে আমার সন্তানদের জন্য। যখন বললাম, ‘এমি আসছে, তোমাদের কি দেখা করার ইচ্ছা আছে?’ ওরা লাফাচ্ছিল। সবশেষ দুটি দিন ওরা ঠিকমতো ঘুমাতে পারছিল না এমিকে দেখবে বলে। আজকে এমির সঙ্গে দেখা হওয়ার পর বললাম, ‘বাচ্চারা তোমার অটোগ্রাফ নিতে চায়। সে এত আন্তরিকতা দেখাল, এক কথায় অসাধারণ। এমনকি সে ছবিও তুলে দিল ওদের সঙ্গে। এখন তারা মহাখুশি, আর ওদের খুশিতে আমিও এখন মহাখুশি। এমি, আপনাকে স্বাগত এই বাংলার মাটিতে। এখানে আপনাদের অগুনিত ভক্ত আছে, যুগ যুগ ধরে। আশা করি, আপনারও ভালো লাগছে এই মাটিতে পা রেখে।