গত মাসে ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সীমিত ওভারের সিরিজে ব্যাটে–বলে চমৎকার পারফরম্যান্সে নিজেকে মেলে ধরেন সাকিব আল হাসান। এতে ‘আইসিসি প্লেয়ার অব দ্যা মান্থ’ এর সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা পেলেন তিনি। মার্চের সেরার লড়াইয়ে তার প্রতিদ্বন্দ্বী নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন ও
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আসিফ খান। গত মাসের সেরার লড়াইয়ে থাকা পুরুষ ও নারী ক্রিকেটারদের নাম গতকাল বৃহস্পতিবার ঘোষণা করে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থা। মেয়েদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন পাপুয়া নিউগিনির সিবোনা জিমি ও রাভিনা ওয়া এবং রুয়ান্ডার হেনরিয়েট ইশিমউই।
ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ে বড় অবদান রাখেন সাকিব। ৭১ বলে ৭৫ রানের ইনিংস খেলার পর বল হাতে ৩৫ রান খরচায় নেন ৪ উইকেট। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্যাচের সেরা হন তিনিই। ২–১ ব্যবধানে হেরে যাওয়া ওই সিরিজে ২ ফিফটিতে
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১৪১ রান করেন তিনি। বল হাতে তার ৬ উইকেট সিরিজে দেশের হয়ে তাইজুল ইসলামের সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ। পরে টি–টোয়েন্টির বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের এই সংস্করণে হোয়াইটওয়াশ করার পথেও ভূমিকা ছিল অধিনায়ক সাকিবের। তিন ম্যাচের প্রতিটিতেই উইকেট নেন তিনি। ব্যাট
হাতে প্রথম ম্যাচে খেলেন ২৪ বলে অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংস। বাকি দুই ম্যাচে অবশ্য ব্যাটিংয়ে নিষ্প্রভ ছিলেন তিনি। ফর্ম ধরে রাখেন সাকিব আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি সিরিজেও। প্রথম ওয়ানডেতে খেলেন ৯৩ রানের ইনিংস। টি–টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ২৪ বলে করেন
অপরাজিত ৩৮। এই সংস্করণের তিন ম্যাচে করেন ৫ শিকার। মাসজুড়ে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে তৃতীয়বারের মতো ‘আইসিসি প্লেয়ার অব দ্যা মান্থ’ এর সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা পেলেন সাকিব। ২০২১ সালের জুলাইয়ের সেরা হওয়ার পর অক্টোবরের সেরার লড়াইয়েও ছিলেন ৩৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।